
কথায় বলে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। তবে এবছর গঙ্গাসাগরের সেই চেনা ছবি উধাও। নিউ নর্মালে সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় চলে পূণ্যস্নান। ভিড় তুলনামূলক কম। করোনার আবহে দেশের সর্বোচ্চ পালিত হচ্ছে সমস্ত শীতকালীন অনুষ্ঠান ও আচার বিধি। গঙ্গাসাগরের পুন্য তিথিতে দর্শনার্থীদের ভিড় নজর কাড়ে প্রতিবছরই। তবে সেই ছবিতে এবার ব্যতিক্রম, আগের তুলনায় কমেছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। প্রতি বছর পূণ্য লাভের আশায় লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী পৌঁছে যান সেখানে ,জায়গা থাকে না পা রাখার মত। করোনার আবহাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নেওয়া হচ্ছে অনলাইন অর্ডার । বাড়ির সামনে পৌঁছে যাবে গঙ্গা সাগরের জল ও প্রসাদ। পাশাপাশি ভক্তবৃন্দ দের কথা মাথায় রেখে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে শর্তটি পালন করে গঙ্গাসাগরে স্নান এর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল গত বুধবার। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর গঙ্গাসাগর যাত্রায় গিয়ে প্রত্যক্ষ করে এসেছেন কোরেন্টাইন সেন্টার থেকে শুরু করে করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতাল ব্যবস্থার সচেতনতা ঠিক কতটা ! ইতিমধ্যেই সাগরতটে পৌঁছেছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার একাধিক নদ-নদীতে পালিত হচ্ছে মকরসংক্রান্তি। সকাল থেকেই চলছে পূণ্যস্নান। দারকেশ্বর, অজয় নদের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের রূপনারায়ন নদীর ঘাটে পূণ্যস্নানে ব্যস্ত পূর্ণ্যার্থীরা।এদিন কোলাঘাটের গৌরাঙ্গ ঘাট,কাঠচাড়া ঘাট, কালীমন্দির ঘাটে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কোনোরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সজাগ রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও। ভোর থেকেই নদীর ঘাটগুলিতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।

মকর সংক্রান্তি থেকে শুরু করে মহাশিবরাত্রি অবধি চলা প্রয়াগরাজের মাঘ মেলা শুরু হতে চলেছে আজ। এই মেলা চলবে ৫৭ দিন পর্যন্ত এবং তার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে । প্রশাসনিক মহলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলেই পৌঁছে গেছেন মেলা প্রাঙ্গণে, প্রথম স্থানে ৮০ লক্ষ যাত্রীর অংশগ্রহণের কথা জানতে পারা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত।যেহেতু এবার করোনার ভ্রূকুটির মধ্যেই মেলা বসছে তাই কড়া পরীক্ষা রয়েছে প্রশাসনের সামনে।মেলায় প্রবেশের জন্য ১৬ টি প্রবেশ দ্বার বানানো হয়েছে। যে দ্বারগুলিতে থাকবেন পুলিশ কর্মীরা।মোট এলাকা থাকছে ৬৪০ হেক্টর।

অপর দিকে ভারতের দক্ষিণ অংশে চলছে পোঙ্গল উৎসব। দক্ষিণ ভারতীয় একটি বহু দিন ধরে নবান্নের উৎসব হয় তামিল সম্প্রদায়। তামিল সৌর ক্যালেন্ডার অনুসারে তাই মাসের শুরুতে এটি পালন করা হয় , এবং এটি সাধারণত জানুয়ারীর ১৪ তারিখে। পঙ্গল উত্সবের তিন দিনকে ভোগি পঙ্গল , সূর্য পঙ্গল এবং মাত্তু পঙ্গাল বলা হয় । কিছু তামিল পঙ্গালের চতুর্থ দিনটি কানুম পঙ্গাল হিসাবে পালন করে।