এবার সংক্রমণ রুখতে কুম্ভ মেলা শেষে কারফিউ জারি হল হরিদ্বারে, আজ থেকেই শুরু হচ্ছে এই কারফিউ। কুম্ভের শেষদিনের শাহী স্নানের একদিন পর জারি হল এই নির্দেশ। শাহী স্নানের সময় হাজার হাজার ভক্তদের কোভিড প্রোটোকল ভাঙতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গোটা দেশে যখন কোভিড সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষ গণ্ডি পার করেছে, তখন গোটা উত্তরপ্রদেশ জোর কদমে চলছিল শাহী স্নান। মনে করা হচ্ছে বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে এটি একটি বড় কারণ। মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে, হরিদ্বার থেকে ফিরলে ভক্তদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে অথবা অন্য কোথাও আলাদা ভাবে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি রাজ্যের তরফ থেকে এরকমই কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কোথাও হোমকরেন্টাইন কোথাও আবার কোভিড টেস্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তাই শাহী স্নানের পরই জারি করা হয়েছে কার্ফু। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ কোভিড সংক্রমনের জন্য বেনারসের বেশ কয়েকটি ঘাটে গঙ্গারতি উপলক্ষে সাধারন মানুষের ভিড় করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই কারফিউ চলাকালীন কেবলমাত্র জরুরী পরিষেবা পাওয়া যাবে, তাছাড়া সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই কভিডের সংক্রমণ দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়তে দেখে প্রধানমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছিলেন যে বাকি কুম্ভ মেলা প্রতীকী রূপ এ প্রতিপালিত হোক এবং তিনি তার টুইটারে লেখেন, “এবার যেন করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখেই প্রতীকী ভাবে কুম্ভমেলা পালন করা হোক।” সেই টুইটার প্রত্যুত্তরে জুনা আখাড়ার মহামন্দালেশ্বর স্বামী অবদেশানন্দ গিরি টুইটারে জানিয়েছেন, মানুষের সুস্থ থাকা তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার পায়। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে এখানেই, কুম্ভ মেলার শেষে যে কারফিউ জারি করা হল সেই কারফিউই কেন সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আগে জারি করা হলো না? তাহলে কি কেবলমাত্র কোন এক ধর্মীয় নিয়মের বিপরীতে না গিয়ে কমিউনাল দাঙ্গার হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিল মোদি সরকার? নাকি এতদিন বাদে সংক্রমণের মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পেল কেন্দ্রীয় সরকারের চোখে? প্রশ্ন থাকছে আমাদের ,প্রশ্ন থাকছে সাধারণ মানুষের।