ভয়ানক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অসমে। রাজ্যের ১৭ টি জেলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অসমের দুটি জেলায় বন্যার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। বারপেটা, বিশ্বনাথ, কামরূপ, চেরাং, জোড়হাট, লখিমপুর, মরিগাও, জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উত্তরোত্তর বাড়ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানাচ্ছে বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ৩ লক্ষ ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। মাজুলি দ্বীপ ও লখিমপুরে বানভাসি মানুষের সংখ্যা সবথেকে
বেশি।
এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা সূত্রে খবর বন্যার জেরে ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন যারা তাদের জন্য ত্রানশিবির খোলা হয়েছে। দুর্গত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার ও পোশাক। রাজ্যে ৯৫০ টি গ্রাম জলের নিচে। কয়েক হাজার ত্রাণ শিবিরে ২ হাজারের বেশী মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে। ৩১ হাজার হেক্টর জমি ভেসে গেছে। বিশ্বনাথ, মরীগাও সহ নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে ভাঙন। শুধু মানুষ নয় ভেসে গিয়েছে ২ লক্ষাধিক গবাদি পশু।
কিন্তু হটাৎ এই ব্যাপক বৃষ্টি ও জলস্তর বৃদ্ধির কারণ কি! জানা গেছে ঘূর্ণাবর্তের কারণে ভারতে যে কয়েকটি রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে তার মধ্যে উত্তর পূর্বের অসম একটি। এখানে ব্রহ্মপুত্র নদ ছাপিয়ে জল বইছে, বরাক উপত্যকার দুই প্রান্তে জল উঠে এসেছে কয়েক মিটার উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর হেমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে। সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন শ্রী মোদি।