নয়া কৃষি আইনের বিরোধীতায় দিল্লি চলো
কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার দিল্লির বদরপুর।
নয়া কৃষি আইনের বিরোধীতায় দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। সেইমত বৃহস্পতিবার দিল্লির দিকে এগোতেই কৃষকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ-সিআরপিএফ। এদিন সকালে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, কেরল, পঞ্জাব থেকে কৃষকরা রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে বাধা দেয় পুলিশ। দিল্লির সীমানা বদরপুরের কাছে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন কৃষকরা। রীতিমত ব্যারিকেড ভেঙে তারা এগোতে যায়। বাধা দিলে পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।

পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন কেউ হেঁটে কেউ ট্রাক্টরে করে যাচ্ছিলেন দিল্লির দিকে। এদিকে হরিয়ানা দিল্লির সীমানায় বদরপুরে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। কৃষকরা এগোতেই বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। ব্যবহার করা হয় কলকাটার। প্রায় দু’ঘণ্টা এই পরিস্থিতি চলার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে দিল্লি সরকারও কোভিড পরিস্থিতির কারণে মিছিল করতে নিষেধ করে রাজধানীতে। সেজন্য গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, বদরপুরেও কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সিমেন্ট এবং লোহার অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে সিআরপিএফ। তবে বুধবার থেকেই নয়া কৃষক আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন কৃষকরা। কৃষক আন্দোলনের জেরে নিয়ন্ত্রিত করা হয় দিল্লির মেট্রো। দু’দিনের জন্য পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে পঞ্জাব সীমান্ত। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় জারি করা হয় ১ ৪৪ ধারা।

প্রসঙ্গত কষি বিল পাশের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত কৃষক বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারই মাঝে বিল আইনে পরিণত হয়। এরই প্রতিবাদে সম্প্রতি ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয় পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যের বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সেই প্রতিবাদ আন্দোলন। তবে সে সব বাধা পেরিয়ে বুধবারই দিল্লির উপকণ্ঠে এসে পৌঁছন কৃষকরা।বৃহস্পতিবার তা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়।