বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে নারদ প্রসঙ্গে মুখ খোলায় ইতিমধ্যেই হাওড়া সদর বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক টুইট করেই চলেছেন বিজেপির অন্যতম প্রবীণ নেতা তথাগত রায়। এমনকি তাঁর নিশানা থেকে বাদ যায়নি বিজেপিতে যোগদানকারী টলি পাড়ার নায়িকারাও। তাঁদের ‘নটি’ বলেও আক্রমণ করেছেন তিনি।
এবার কি তবে তথাগত রায়ের বিরুদ্ধেও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করবে দল? শুক্রবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি সুরজিৎ সাহার প্রসঙ্গ টেনে এনে তথাগত রায়কে আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “কেউ পদে থেকে, পার্টির দায়িত্ব নিয়ে যদি বিশৃঙ্খলতা করে এবং উল্টোপাল্টা বলে, তবে দলের বেশি ক্ষতি হয়। অনেকে অনেক কিছু বলছে। সমর্থকরা বলছে। তাতে লোকে কেউ বেশি গুরুত্ব দেন না। কিন্তু একজন পদাধিকারী যখন একথা বলছে, তখন দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পদে থেকে বিশৃঙ্খলতা করলে, দল তাঁকে পদ থেকে মুক্ত করবে। যাঁর কোনও পদ নেই তাঁকে কী মুক্ত করবে! আমি জানি না ওঁর কী গুরুত্ব রয়েছে?”
পাশপাশি, বৃহস্পতিবারও টুইট করে রাজ্য বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তথাগত রায়। তিনি লেখেন, “তৃণমূলের এক অগ্রগণ্য ল্যাম্পপোস্ট বলেছেন,’এ রাজ্যে বিজেপি কোনো প্রতিপক্ষই নয়’। কেন এমন অবস্থা হল তা নিয়ে বিশ্লেষণ, কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি দুদিনের চিন্তন বৈঠক দরকার। এটি বিজেপির পরম্পরারই অন্তর্গত।গতানুগতিক মিটিং-মিছিল-বনধ করলে হবে না।” আপাতত, তথাগতর টুইট তরজাই অস্বস্তিতে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গিরা।