প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন মহিলা জেলাশাসক রশ্মি কমলকে আক্রমণ করে তীব্র বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় (PMGSY) বাংলার জন্য ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করার ব্যাপারে কল্যাণীতে দাঁড়িয়ে দিলীপ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় আগে থেকেই এই শর্তগুলি ছিল। রাজ্য সরকার এইসব শর্ত মানে না। রাস্তা তৈরির ব্যাপারে এমএলএ, এমপি’র মতামত নিয়ে প্লানিং করা দরকার। আমি সাড়ে তিন বছরের এমপি, আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি। জেলাশাসক গত বছর একবার সার্কুলার দিয়েছিল রাস্তা হয়ে যাওয়ার পর। তুই ঠিক করার কে রে? পাবলিক আমাকে জিতিয়েছে আমি ঠিক করবো। তোর বাপের টাকা? তাই কেন্দ্র সরকার এদেরকে বার বার শর্ত দিচ্ছে ,নাহলে টাকা বন্ধ করে দেবে। আইনে সবই আছে, কিন্তু এখানকার সরকার কোনও আইন মানে না। এবার মানবে। না মানলে, যেমন ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ আছে, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন টাকা বন্ধ আছে, এটাও বন্ধ হয়ে যাবে পুরোপুরি। পারলে তোমরা নিজেরা করো। কেন্দ্র লুট করার জন্য টাকা দেবে না।‘
গরু পাচার মামলায় আটক তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকেও এক হাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক হিংসা আর আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে অনুব্রতর তীব্র যোগাযোগ রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। তিনি বলেন, ‘সিবিআই, ইডি, যারা যারা এইসব ব্যাপারে তদন্ত করছে তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমান আছে। তাই অনুব্রত বারবার ধরা পড়বে এবং গ্রেফতারও হতে হবে তাকে’। পাশাপাশি নাম না করেও দিলীপ তীব্র কটাক্ষ করলেন অনুব্রতকে। তাঁর কথায়, এখন সুদ জমছে, একসময় সব হিসেব হবে, তৃণমূল নেতাদের সব হিসেব দিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্র ভারি মজার বিষয়। গণতন্ত্রের চাকা চার দিকে ঘুরতে থাকে। কখন কার দিকে চাকা হালকা আর কার দিকে ভারী কেউ জানে না। একজন মন্ত্রী গিয়ে বললেন, বাঘ নাকি খাঁচায় আছে। বাঘ না বাঘরোল বোঝা যাচ্ছে না।‘ সিবিআইয়ের পর অনুব্রতকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে ইডি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘দিল্লি গেলেই টের পাবেন ওখানকার রুটি আর চা কেমন। দিল্লি গেলে হয়ত ১১০ কেজি ওজন ৭৫ কেজি হয়ে আসবে।‘
আরও পড়ুন