কোভিড বিধি মেনেই পঠন-পাঠন শুরু হতে চলেছে রাজ্যে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকেই স্কুল খোলার বিষয় গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।আর এবার তাঁর সিদ্ধান্তই সহমত পোষন করলেন রাজ্যের চিকিৎসকরাও। করোনাকালিন পরিস্থিতির কারণেই দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে অফলাইন পড়াশোনা। স্কুলের দরজা বন্ধ হয়েছে দীর্ঘ দিনের জন্য। তবে এবার দূরত্ব বজায় রেখেই অফলাইন পঠন-পাঠন শুরু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন চিকিৎসকরাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উৎসবের মরসুমে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের পঠন পাঠানোর বিষয়ে জোর দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে সেক্ষেত্রে মানতে হবে করোনাবিধি।আজ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই বৈঠক সারেন স্বাস্থ্যকর্তারাও। বিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পঠন-পাঠন করার জন্য শিক্ষণীয় মানতে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি উত্তর কন্যা আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপরই সশরীরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে পঠন-পাঠন শুরু করার বিষয়ে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছট পুজো, কালীপূজার মতো অনুষ্ঠানগুলো মিটে গেলেই আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে সেক্ষেত্রে বর্তমানে কেবলমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে শুরু করা হচ্ছে অফলাইন পঠন-পাঠন। পাশাপাশি প্রত্যহ স্কুলে যেতে হবে না ছাত্রছাত্রীদের ।জানানো যাচ্ছে বিদ্যালয়ের বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন হতে দেখা যাবে আগামীদিনে। আপাতত বন্ধ থাকবে প্রার্থনা সঙ্গীত এবং খেলাধুলোর কর্মসূচীগুলিও। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা।