পবিত্র রমজান মাস পার করে আজ ঈদ উৎসবে যোগ দেওয়ার কথা সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের। নতুন জামা পরে একে অপরকে শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া থেকে শুরু করে নিজের বাড়িতে দাওয়াতের আহবাণ, তবে পুরনো সেই ঈদের চেহারা গত বছরের মত এবছরও বিলুপ্ত। দেশজুড়ে চলছে করোনার দ্বিতীয় দাবদাহ, নেই ভ্যাকসিন, হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব, তাই উৎসব পালন করতে গিয়ে প্রিয় মানুষকে হারাতে নারাজ অনেকেই। আর আজ ঈদের মত পবিত্র উৎসবের দিনে ,মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়াটাও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর আজকের দিনে বিশ্বের প্রায় সমস্ত মসজিদগুলোতেই পা ফেলার মত তিল পরিমান জায়গাও থাকে না সেখানে এবার মসজিদগুলোতে সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচজনকে একত্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে।
একই দিনে পড়েছে অক্ষয় তৃতীয়াও তবে আজকের দিনে মহানগরীর চেনা রুপটা একেবারেই নিরুদ্দেশ। কালীঘাট দক্ষিণেশ্বরে নেই বিন্দুমাত্র ভিড়। একই সঙ্গে দুই সম্প্রদায়ের বড় উৎসব, তবে ব্যবসা লাটে উঠেছে ব্যবসায়ীদের। মন্দিরের বাইরে চিন্তিত মুখে বসে থাকতে দেখা গেল মন্দিরের ফুল ও পূজার সামগ্রীর ব্যবসায়ীদের। আজকের দিনে নতুন জামা-কাপড় থাকলেও মুখে মাস্ক আবশ্যক। গত কয়েক বছরের চেনা বাজারটাও আর নেই, নেই সেই জমজমাটি।
প্রিয় মানুষের জন্য উপহার কেনার জায়গায় এবার ঈদি উপহার হিসেবে কেবলমাত্রই টাকা। কোথাও আবার অনলাইন কেনাকাটার উপরেই বেশি জোর দিয়েছেন সাধারন মানুষ। সংক্রমণ এড়াতে নামাজেও ছাড় পেয়েছেন তাঁরা। মসজিদের মৌলানা জানিয়েছেন, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়মমাফিক নামাজ পড়তে না পারলেও ক্ষমা পাওয়া যাবে। ভিড় এড়াতে আজ মহানগরীতে মেট্রো সংখ্যা কমানো হয়েছে বেশ কিছুটা । সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে মেট্রো । এম জি রোড এবং সেন্ট্রালের চেনা ভিড়টা এবার একেবারেই নিরুদ্দেশ। শুধু তাই নয় আজকের দিনের চেনা ভিড় চোখে পড়েনি মসজিদ গুলিতেও ।আজ দেশজুড়ে সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে উৎসবের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাশাপাশি করোনা বিধি মাথায় রেখেই নিজেদের অনুষ্ঠানে শামিল হওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।