‘মণীশ সব জানে’। গরু পাচার মামলার বহু তথ্য মণীশকে জেরা করলে বেরিয়ে আসবে এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর সে কারণেই মণীশকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দু পক্ষের কথা শোনার পর ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন আদালতে ইডি জানায়, মণীশ অনুব্রতর হয়ে টাকা নিয়েছেন, সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মণীশ সবকিছু জানেন বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অন্যদিকে, মণীশের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। এছাড়া, মণীশ জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিন ৩০ মিনিট বরাদ্দ হবে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য।
এদিন, আদালতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন মণীশের স্ত্রী নীলম কোঠারি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। ধরা ধরা গলায় বললেন, ‘আমি কিচ্ছু করিনি। আমি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এটাই আমার ভুল।’ তিনি কি কোনওভাবে কালো টাকা সাদা করানোর সঙ্গে যুক্ত? তাঁকে দিয়েই কি অনুব্রত মণ্ডল এসব কাজ করিয়েছেন? প্রশ্ন করা হলে মণীশ কান্না মেশানো গলায় বললেন, ‘না, আমি কিচ্ছু করিনি।’ আদালতে কেঁদে ফেলেন মণীশে স্ত্রীও।
এদিকে, মণীশ গ্রেফতার হওয়ার পরের দিন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে তলব করা হলেও, ইডি দফতরে যাননি তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে যেতে পাপবেন না বলে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন সুকন্যা। ৭ দিন সময় চেয়েছেন তিনি।