আজ সকাল থেকেই মুখ ভারি তিলোত্তমার। জগদ্ধাত্রী পূজার দশমীর দিনেও সকাল থেকেই মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে। মহানগরীর পাশাপাশি শহরের অন্যান্য প্রান্তেও একই চিত্র থাকবে বলে জানা যায়। গতকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে।
0
0
Read Time:2 Minute, 54 Second
আজ সকাল থেকেই মুখ ভারি তিলোত্তমার। জগদ্ধাত্রী পূজার দশমীর দিনেও সকাল থেকেই মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে। মহানগরীর পাশাপাশি শহরের অন্যান্য প্রান্তেও একই চিত্র থাকবে বলে জানা যায়। গতকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে প্রকাশিত তথ্য জানতে পারা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। যা ক্রমাগতই স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে আজও বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। মূলত নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়াতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে । এর জেরেই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। এমনকি আদ্রতা জনিত অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা যাচ্ছে শহর এবং শহরতলি বাসীদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুজোর মরশুম কাটিয়েই এবার শীতের অপেক্ষায় রয়েছে বাঙালি।ইতিমধ্যেই বঙ্গবাসীর এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ সুজীব কর। বিখ্যাত এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য জানতে পারা গিয়েছে সুজীব বাবু বলেছেন, ‘ মূলত উত্তর দিক থেকে আগত বায়ুর শক্তি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার ফলে বলা যায় যে আগামী ২০ই নভেম্বরের পর থেকে রাজ্যে শীতের অনুপ্রবেশ ঘটবে।’ যদিও এই আবহাওয়াবিদের ধারণাকে বেশ কিছুটা কাউন্টার করেছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের দাবি আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকেই শীতের আমেজ শুরু হতে চলেছে রাজ্যে। ওদিকে নিম্নচাপের কারণে শীতের প্রভাবে কোনও পরিবর্তন হবে কিনা সেই প্রসঙ্গে সুজিত কর জানান, ‘ এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে বঙ্গোপসাগরে জলের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। যার ফলে এই বছরের শীত সক্রিয় হলেও, মাঝেমাঝে বিচ্ছেদ পড়তে পারে। অর্থাৎ শীতের মাঝে মাঝেও গরমের চিত্র দেখা যাবে শহর এবং শহরতলীতে।’
আবারও বুনো হাতির হামলা জলপাইগুড়িতে । জানা যাচ্ছে, আজ ভোর রাত থেকেই দুই বুনো হাতির হামলায় নাজেহাল জলপাইগুড়িবাসি। ইতিমধ্যেই এই খবর সামনে আসার পরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। মূলত পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল থেকে এই হাতি গুলি এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে। তিস্তা পার করেই শহরে ঢুকে পড়েছে এই দুই হাতি। আর তারপরেই সরাসরি চলে আসে কোভিড হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা। জানা যায়, তারপরে এই খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছান জলপাইগুড়ি বনদপ্তরের কর্মী এবং সকল আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর জলপাইগুড়ি টিবি হাসপাতাল সংলগ্ন সঞ্জয়নগর কলোনী এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা এই হাতি দুটি দেখতে পান। মূলত নেতাজি পাড়া এলাকা থেকেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পিছন দিয়ে নদীর দিকে নেমে যেতে দেখা যায় ওই হাতি দুটিকে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই দুটি হাতির তাণ্ডবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই দুটি হাতের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়েছে বনদপ্তর এর তরফে। বর্তমানে এই হাত দুটি মাসকলাই বাড়িসংলগ্ন এসি কলেজ বয়েজ হোস্টেলের পিছনে থাকা করলা নদী সংলগ্ন একটি এলাকার জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের তরফ থেকে এলিফ্যান্ট স্কোয়ারড নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও ঘুমপাড়ানি গুলির মাধ্যমে এই হাতি গুলিকে বশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।