বিগত কয়েকদিনের নিম্নচাপের জেরে জলমগ্ন গোটা রাজ্য। অনেক নদীতেই প্রবল জলোচ্ছাসের ফলে বন্যার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। বাঁকুড়ার কংসাবতী নদীতেও বিপদমাত্রা অতিক্রম করে গিয়েছে জলস্তর।বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়া পৌরসভার ইরিগেশানের সংলগ্ন লকগেটের কাছে নদীর জলস্রোত পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে রাতেই কংসাবতী নদীর লকগেট পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের সেতমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
এদিন পরিদর্শনে এসে তিনি জানান,কংসাবতী নদীর জলোচ্ছ্বাস ভয়ঙ্কর ভাবে ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাঁশকুড়া পৌরসভা ও আসে পাশের গ্রামগুলিতে যেকোনো সময় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কাঁসাই নদীতে এরূপ জলোচ্ছ্বাস এর আগে কোনোদিনই দেখা যায়নি। পৌরসভা, বিডিও অফিস এবং ডি এমকে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দেন তিনি।সেচমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যেসব জায়গায় জল বাঁধ টপকে জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল সেসব জায়গায় জল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর হয়েছে। কংসাবতী নদীতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও তেলেঘাই, কপালেশ্বরী, বাঘাই, চণ্ডিয়া নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস থাকলেও আপাতত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই জানান তিনি।
এদিন সৌমেন মহাপাত্রের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও শুনতে পাওয়া যায়। এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদাই প্রস্তুত আছে। নদীর আশেপাশের এলাকার মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চালানো হচ্ছে। রাজ্য সরকারি পরিষেবা, খাদ্য, ত্রিপল ইত্যাদি সমস্ত পরিষেবা এলাকাবাসীকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও তার বক্তব্য, এই ভারী বর্ষণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণও দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন পাঁশকুড়ার পাশাপাশি ডেবরা পিংলা সবং পটাশপুর এলাকাও পরিদর্শন করেন তিনি। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের সঙ্গে ছিলেন পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দ কুমার মিশ্র। আপাতত কয়েকদিনের নিম্নচাপে বিপর্যস্ত কাঁসাই নদীর পার্শ্ববর্তী জনজীবন।