কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে 26 শে নভেম্বর থেকে দিল্লির বুকে শুরু হয়েছিল কৃষক আন্দোলন। আর সেই কৃষি আইনের প্রতিবাদে আজ দেশ জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক মাস ধরেই আন্দোলনরত রয়েছেন কৃষকেরা, পাশাপাশি বিভিন্ন বৈঠকের মাধ্যমে চেষ্টা করেছেন সমঝোতা করার। কিন্তু তাতে সম্পূর্ণ বিফল হয়েছেন তাঁরা । তাই আজ চার মাসের মাথায় এসেও আন্দোলন জারি রেখেছেন আমাদের অন্নদাতারা। দিল্লির প্রধান তিনটি সীমান্ত- সিংঘু, গাজিপুর এবং তিকরি সীমান্তে গত চার মাস ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অন্নদাতারা ।
আজ এই আইনের প্রতিবাদে পুরো দেশে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। শুধু তাই নয় কৃষক মোর্চার বনধ ছাড়াও আজ অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ‘চাক্কা জ্যাম’-এর ডাক দিয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে । আজকের এই ধর্মঘটে তাঁদের পাশে থাকার জন্য আহবান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষদের। কৃষকনেতা দর্শন পাল বলেছেন, ‘আমরা ভারতবাসীর কাছে আবেদন করব, যাতে কৃষকদের গৌরবের স্বার্থে এই ভারত বনধকে তাঁরা সফল করেন।’
তবে বেশ কয়েকটি রাজ্যকে এই ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। বিশেষত আগত বিধানসভা ভোট যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে হওয়ার কথা রয়েছে সেগুলিতে ধর্মঘট না হওয়ার কথা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুসারে জানতে পারে গেছে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অবদি মোট ১২ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই হরিয়ানা পাঞ্জাব বিভিন্ন এলাকাতেই রাস্তায় চাক্কা জ্যাম করানো হয়েছে। এরফলে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ বাসে, আটকা পড়ে রয়েছেন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে। প্রতিটি রাস্তায় যানজটের পরিমাণ এতটাই বেশি কোন গাড়ি না পারছে এগোতে না পারছে পিছোতে। আন্দোলনের আওতায় থাকা প্রতিটি রাজ্যের দোকানপাট সমস্ত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের YSR কংগ্রেস পার্টি ।