সকাল থেকেই গোটা এলাকাজুড়ে বেশ পোড়া পোড়া গন্ধ থাকলেও কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলাকাবাসীরা দেখেন এলাকারই এক প্লাস্টিক প্রিন্টিং কারখানা থেকে বেরতে শুরু করেছে কালো ধোঁয়া। আচমকাই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে কারখানাটিতে। অতি দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে দমকলে খবর দেয় এলাকাবাসীরা। এরপর প্রথমে ৩টি দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। সকালবেলা এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণদাঁড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে আচমকাই প্লাস্টিক প্রিন্টিং কারখানাটি থেকে অত্যাধিক কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। মুহূ্র্তেই কালো ধোঁয়া আর প্লাস্টিক পোড়া গন্ধে ভরে যায় গোটা এলাকা। তারপরেই গোটা কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এরপরেই দ্রুততার সঙ্গে বের করে আনা হয় কারখানার আশেপাশের বাসিন্দাদের। দমকল বাহিনী সূত্রের খবর, মূলত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে ওই কারখানাটিতে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে প্রথমে এসে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন আরও ছড়াতে থাকায়। পরে আরও ৩টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। এরপর দমকল কর্মীদের এক ঘণ্টার ম্যারাথন চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে ওই ভয়াবহ আগুন। ইতিমধ্যেই লেকটাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। ওই কারখানায় প্লাস্টিক প্রিন্ট করার কারণে মজুত ছিল প্রচুর দাহ্য বস্তু। সেখান থেকেই মূলত আগুন ছড়িয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। তবে দমকলের তত্পরতায় অতি দ্রুত এই অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন এলাকাবাসী। এই অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর টিঙ্কু রাহা বলেন, “এই এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। ছোট জায়গায় প্রচুর লোকের বাস। আজ একটা বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারত। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া গেল।” তাঁর আরও অভিযোগ, দক্ষিণদাঁড়ির মতো ঘিঞ্জি এলাকায় কেন প্লাস্টিক প্রিন্টিং কারখানা করা হবে তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুললেও সে বিষয়ে কান দেননি কারখানার মালিক। এমনকি মানতে চাননি কোনও অভিযোগও। এছাড়াও ওই কারখানায় যথাযথ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলেই অভিযোগ এলাকাবাসীর।