প্রবল বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসছে রাজ্যের একাধিক জেলা। জেলায় জেলায় বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পরিস্থিতি। এবার আজ সেই পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসি-র মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় গতকালই ফের একবার ‘ম্যান মেড’ বন্যার অভিযোগে সরব হয়ে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “যদি বৃষ্টির জন্য আমাদের বন্যা হত, তাহলে আমরা এটা বুঝতাম, যে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে। সেটাকে আমরা সামলাচ্ছি। কিন্তু, বন্যা তো আল্টিমেটলি হচ্ছে জল ছাড়ার জন্য। ম্যান মেড ফ্লাড।”

এই পরিস্থিতিতে আজ বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর অনুসারে, সকাল পৌনে বারোটা নাগাদ হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে রওনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আকাশ পথেই প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। তাঁর হেলিকপ্টার নামবে আরামবাগের দৌলতপুরে হেলিপ্যাডে। গত কয়েকদিনের অত্যধিক বৃষ্টি ও গুলাবের জেরে রাজ্যের জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। অজয়ের ভয়াল স্রোতে বানভাসি পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা। আউশগ্রাম থেকে মঙ্গলকোট, সমস্তই জলমগ্ন। ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয়হীন অসংখ্য মানুষ। বিপদসীমার উপরে বইছে শিলাবতী, ঝুমি নদীও। প্লাবিত ঘাটালের একাধিক গ্রাম। অসংখ্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ওই অঞ্চলে। পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতির জেরে সবং, পিংলা ও ডেবরার একাংশ জলমগ্ন। জলের তলায় মাঠের পর মাঠ চাষের জমি। দোকানপাট সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত। কংসাবতীর জল ঢুকেছে মেদিনীপুর পুরসভার একাংশেও। ডিভিসি-র অতিরিক্ত ছাড়া জলে ভাসছে উদয়নারায়ণপুর। হাসপাতাল চত্বর থেকে থানা, সর্বত্রই জল থৈ থৈ। স্বস্তির খবর মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর গতকাল থেকে জল ছাড়ার মাত্রা কমিয়েছে ডিভিসি।