গুণগত মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হল প্যারাসিটামল সহ ৫৩টি ওষুধ। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) প্যারাসিটামল সহ ৫৩ টি ওষুধকে নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি (এনএসকিউ) বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-৩ সম্পূরক, অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ওষুধ এবং উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সহ ৫০টিরও বেশি ওষুধ ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রকের গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।
ভিটামিন সি এবং ডি৩, শেলকাল ট্যাবলেট, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন সি সফটজেল, অ্যান্টাসিড প্যান-ডি, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট আইপি ৫০০ মিলিগ্রাম, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ড্রাগ গ্লিমিপিরাইড, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টেলমিসার্টান সহ ৫৩টি সর্বাধিক বিক্রিত ওষুধ এই তালিকায় রয়েছে।
পেটের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য পিএসইউ হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেড (এইচএএল) দ্বারা উৎপাদিত একটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধ মেট্রোনিডাজল, নিয়ন্ত্রক দ্বারা গুণমান পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে।
পাশাপাশি কলকাতার একটি ওষুধ-পরীক্ষা ল্যাব অ্যালকেম হেলথ সায়েন্সের অ্যান্টিবায়োটিক ক্লাভাম ৬২৫ এবং প্যান ডিকে জাল বলে মনে করেছে। কর্নাটক অ্যান্টিবায়োটিকস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড থেকে প্যারাসিটামলের গুণমানও প্রশ্নের মুখে।
এই ওষুধগুলির প্রস্তুতকারক সংস্থা হল হেটেরো ড্রাগস, অ্যালকেম ল্যাবরেটরি, হিন্দুস্থান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেড (এইচএএল), কর্নাটক অ্যান্টিবায়োটিক অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল, এমইজি লাইফসাইয়েন্স, পিউর অ্যান্ড কিউর হেলথকেয়ার সহ রয়েছে আরও অন্যান্যরা।
দুটি তালিকায় ভাগ করে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রথম তালিকায় রয়েছে ৪৮টি জনপ্রিয় ওষুধ আর দ্বিতীয় তালিকায় অতিরিক্ত ৫টি ওষুধের সঙ্গে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির নাম।
আগস্টে, মানব শরীরে ঝুঁকির কথা ঘোষণা করে সিডিএসসিও ভারতীয় বাজারে ১৫৬টিরও বেশি ফিক্সড-ডোজের ওষুধের সংমিশ্রণ নিষিদ্ধ করেছে। এই ওষুধের মধ্যে ছিল জনপ্রিয় জ্বরের ওষুধ, ব্যথানাশক ও অ্যালার্জি ট্যাবলেট।