শীর্ষ আদালতে আর জি কর মামলার শুনানির পরেই ফের পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিল জুনিয়র ডাক্তাররা।এমনিতেই টানা কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা নাজেহাল তার উপর দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতিতে বাড়বে আমজনতার ভোগান্তি বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টমহল। সোমবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিবাদী চিকিৎসকদের সম্পূর্ণভাবে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপূর্বে প্রথম দফায় ৯ আগষ্ট থেকে যে কর্মবিরতি তারা শুরু করেছিল, তা আংশিক প্রত্যাহার করে ২০ সেপ্টেম্বর ইমারজেন্সি পরিষেবা কাজে যোগ দেয়।
সোমবার সুপ্রিম শুনানির পর রাতে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা জেনারেল বডির(জিবি) বৈঠকে বসেন। প্রায় ৮ ঘন্টার জিবি মিটিং শেষ হয় গভীর রাতে। এরপরেই তারা ঘোষণা করে, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করবে৷
প্রতিবাদী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। সেই সমস্ত দাবি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মবিরতি চলবে বলেই জানানো হয়। দশ দফা দাবি হল, দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্যাতিতার বিচার। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ। হাসপাতালগুলিতে কেন্দ্রীয় ভাবে ‘রেফারেল’ ব্যবস্থা। হাসপাতালে কত বেড ফাঁকা তার ডিজিটাল মনিটারিং। কলেজভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠন, সিসিটিভি, প্যানিক বটন ও হেল্প লাইন নম্বর চালু। নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে পুলিশ কর্মী। চাই মহিলস পুলিশকর্মীও। হাসপাতালগুলিতে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ। থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠনকে স্বীকৃতি। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং রাজ্যের হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে দুর্নীতির তদন্ত।