গণধর্ষণের দু’মাস পরেও অধরা ধর্ষণকারীরা, পাটনার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ধর্ষিতার। জানা যাচ্ছে, যাদবপুরের ওই তরুণী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সঞ্চালিকা। জুলাই মাসে একটি ইভেন্টের সূত্রে পাটনা গিয়েছিলেন। সেখানেই পাটনার একটি হোটেলে ৫১২ নম্বর ঘরে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে দুই যুবক।
কিন্তু নির্যাতিতার দাবি, থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি হর্ষরঞ্জন ও বিক্রান্ত কেজরিওয়াল নামে দুই অভিযুক্তকে। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিস জিরো এফআইআর করে পাটনার গান্ধীপুরা থানাতে পাঠায়। কিন্তু পাটনা পুলিসের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন তরুণী। ধর্ষণের দু’মাস পরেও ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার না করায় পুলিশের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন। তবে পাটনা পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যেই হোটলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।
নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগ, পারিশ্রমিক দেওয়ার অজুহাতে তাঁর ঘরে ঢোকে অভিযুক্তরা। পরে তাঁর রুমে বসেই নেশা করতে শুরু করে। এরপরেই তরুণী প্রতিবাদ করায় বাক-বিতণ্ডাও হয়। তারপরেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ মুছে দেওয়ার জন্য তাকে জলেও ফেলে দেওয়া হয়। ধর্ষিতাকে জোর করে গর্ভ নিরোধক ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগও উঠছে। প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান ওই তরুণী। পরে কলকাতাই ফিরে মেডিকেল রিপোর্ট এবং জিরো এফআইআর করে পাটনা পুলিশের কাছে পাঠানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। কিন্তু তারপরেও পাটনা পুলিশের কোনরকম তৎপরতা না দেখায় সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেন নির্যাতিতা। তরুণীর বন্ধুদের সেই পোষ্ট ভাইরাল হতেই সামনে আসে এই ঘটনা। আপাতত সুবিচার পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন নির্যাতিতা ওই তরুণী।