বর্তমানে সরকারি চাকরির দুর্নীতি নিয়ে বিতর্ক সবসময় লেগেই থাকে রাজ্যে। কিন্তু এবার হাতেনাতে দুর্নীতির ছবি প্রকাশ্যে আসল মালদা জেলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য ভাইরাল হওয়া রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের প্যাডে লেখা সুপারিশ চিঠিকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই চিঠি কে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই চিঠিতে কোন তারিখের উল্লেখ নেই। সাবিনা ইয়াসমিন চিঠিটি লিখেছেন রাজ্যের জনসাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরকে। চিঠিতে শুধুমাত্র উল্লেখ রয়েছে সুব্রত ঘোষ নামে এক ব্যক্তির নাম। তিনি লিখেছেন সুব্রত ঘোষ আমার পরিচিত এবং অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং বেকার যুবক। তাঁকে আপনার দপ্তরের সিকিউরিটি গার্ড অথবা অপারেটর অথবা অন্য কোন পদে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। প্যাডের নীচে সাবিনা ইয়াসমিনের স্বাক্ষরসহ অফিশিয়াল সিলও রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “আমার এবং বদনাম রটানোর জন্য এই ভুয়ো চিঠি তৈরি করা হয়েছে। চিঠিতে যে হাতে লেখা রয়েছে তা আমার নয়। তাছাড়া পেটের নিচে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটিও আমার নয়।ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনকে রিপোর্ট করা হয়েছে। মালদা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে মালদহের বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন,”একজন মন্ত্রীর স্বাক্ষর কিভাবে নকল করে সুপারিশ চিঠি লেখা হয় তা সত্যিই অবাক করে।”