আমি কারও সঙ্গে কথা বললেই রাজনীতি জুড়ে দেওয়া হয় কেন? আমাকে ত্রিপুরার পর্যটনকেন্দ্রগুলির প্রচার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন কিছু চূড়ান্ত হয়নি। সচীন কেরলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, শাহরুখ কলকাতার, অমিতাভ গুজরাতের, মহেন্দ্র সিং ধোনি ঝাড়খণ্ডের। তাদের বেলা তো কোনও রাজনৈতিক বিতর্ক হয় না। ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়া নিয়ে জল্পনা ও তা নিয়ে রাজনৈতিক রং লাগা নিয়ে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, আমি কিছু করলেই কেন রাজনীতি যোগ করে দেওয়া হয়?
সংবাদমাধ্যমকে সৌরভ বলেন, “ত্রিপুরা থেকে প্রস্তাব এসেছিল। আমি এখনো কিছু চূড়ান্ত করিনি। তার মধ্যেই একটা সাক্ষাতের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়ানো হচ্ছে। আমার সঙ্গে কেউ সাক্ষাৎ করতে চাইলে আমি কি এড়িয়ে যাব? কথা বলতে পারব না? আমি কারও সঙ্গে কথা বললেই রাজনীতি জুড়ে দেওয়া হয় কেন? আমি খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। আমাকে দয়া করে এসবে জড়াবেন না।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সৌরভের সঙ্গে দেখা করেন ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এরপরই রটে যায়, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সৌরভ। এমনকী এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেন রাজনৈতিক নেতারা। যাতে স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।

মহারাজ আরও বলেন, “মানিকবাবু যখন ত্রিপুরার চিফ মিনিস্টার ছিলেন। আমি তখন ক্রিকেট বোর্ডে ওখানকার প্রেসিডেন্ট ছিলাম। ত্রিপুরাতে আমি প্রথম ১৯৯০ সালে খেলেছি। আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। বিসিসিআই যে ফান্ড জেনারেট করছে ভারতবর্ষের সব জায়গায় ভালো ভালো স্টেডিয়াম তৈরি হবে। বাংলা আমাকে অনেক দিয়েছে। বাংলা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। বাংলার মানুষ আমাকে যা ভালোবাসে পৃথিবীর কোথাও এতো ভালোবাসা পায়নি।