দিন কয়েক আগেই ছাত্র আন্দোলনের জেরে শিরোনামে উঠে আসে বিশ্বভারতীর নাম। পরবর্তীকালে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। আপাতত পাঁচদিনের ছুটিতে আছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, পাঁচদিনের ছুটিতে দিল্লি গিয়েছেন উপাচার্য। ছাত্র আন্দোলনের জেরে উপাচার্যের উপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। তাই তড়িঘড়ি তলব করা হয়েছে উপাচার্যকে। এবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হল ‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’ তরফ থেকে। এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী শিক্ষামন্ত্রীকেও।
তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে ২৭ আগস্ট থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে পড়ুয়াদের একাংশ। এই আন্দোলনে পাশে এসে দাঁড়ায় আশ্রমিক ও অধ্যাপকদের একাংশও। এরপরেই এই মামলার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। হাইকোর্ট আন্দোলন প্রত্যাহার করার পাশাপাশি তিন পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। এই আন্দোলন চলাকালীন পড়ুয়াদের সমর্থন করতে তৈরি হয় ‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’। এবার উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিলেন ওই মঞ্চের সদস্যরা।
এদিন অধ্যাপক, ছাত্র , বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, আলাপিনী মহিলা সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা এই বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “বিশ্বভারতীর মেলা মাঠ বাঁচাও কমিটি, আশ্রমিক, অধ্যাপক সকলের বিরুদ্ধে একের পর এক অনৈতিক কাজ করে চলেছে উপাচার্য। এর প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ করা না হলে, ফের আন্দোলনে নামব।” বিশ্বভারতীর উপাচার্য হওয়ার পর থেকে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি ঘেঁষা বলে পরিচিত বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার সেই বিতর্ককে কেন্দ্র করেই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা।