তীব্র প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলের আকাশে উড়লো হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। বিজ্ঞান স্বভাবতই এক আলাদাই রহস্য রোমাঞ্চে মোড়া জায়গা। তার ওপর যদি সেটা মহাকাশবিজ্ঞান হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। দুই মোটর বিশিষ্ট হেলিকপ্টারটির ছবি বেশ অনেকদিন আগেই প্রকাশ করেছিল নাসা । এর আগেও এই হেলিকপ্টার উড়ানো একবার বাতিল হয়ে যায় তাঁর ব্লেডের কিছু সমস্যা জনিত কারণে। শনিবারই নাসার তরফে , আজ ১৯ এপ্রিল সোমবার ইনজেনুইটি প্রথমবার মঙ্গলের মাটিতে ওড়ানোর কথা জাননো হয়েছিল। আজ দুপুর তিনটে পঁয়তাল্লিশ নাগাদ এই হেলিকপ্টার প্রথমবারের মতো মঙ্গলের আকাশে উড়ান শুরু করে। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে উড়ান শুরু করার সাড়ে তিন ঘন্টা পর ছবি পাঠাতে শুরু করবে এই বিশেষ যান।
ইনজেনুইটির অপারেশন লিডার টিম ক্যানহ্যাম আগেই জানিয়েছিলেন, হেলিকপ্টারটি অবস্থা আগের থেকে ভালই ছিল। পাশাপাশি এই হেলিকপ্টারটি গতরাত্রে স্পিনের ক্ষেত্রেও সবুজ সিগনাল পার করেছিল। অর্থাৎ হেলিকপ্টারটি পাখার গতরাত্রে স্পিন পাওয়ার ছিল ৫০ RPM। যদিও এর মধ্যস্থ হিটার একে ৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রাখে। কিন্তু মঙ্গলে তাপমাত্রা রাতের দিকে মাইনাস ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে যায়। তাই ইনজেনুইটিকে নিয়ে চিন্তা রয়েছে বৈকি! মঙ্গলে এই হেলিকপ্টারের রাত্রিযাপন নিয়ে আশঙ্কিত রয়েছেন নাসার সমস্ত বিজ্ঞানীসহ রোভারে উপস্থিত বিজ্ঞানীরাও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে তুলনায় মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল খুবই সামান্য । এক কথায় বলতে গেলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ১ শতাংশ বায়ুমণ্ডল বর্তমান রয়েছে মঙ্গলে । পাশাপাশি মঙ্গলের গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স তথা মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তিনভাগের একভাগ বলে চিহ্নিত করা হয়।