বর্ষা মানে বাঙালির খিচুড়ি ও ইলিশ উৎসব। সারাদিন অতি ভারী বৃষ্টিপাত আর গরম ভাতের সাথে ইলিশের আমেজ বাঙালির মন কেড়ে নেয়, আর বর্ষার প্রথম মরশুমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা সমুদ্র মৎস্য জীবীদের জালে পরল ইলিশ, আর এতেই খুশি মৎস্য জীবীরা, তবে এই বিষয়ে এক মৎস্যজীবী বলেন গত বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমের প্রথম দিনেই ভালো ইলিশের দেখা মিলল তারই সাথে সাথে পমপ্লেট সহ বিভিন্ন রকমের মাছ ধরা পড়েছে জালে, তবে বর্ষার মরশুমের প্রথম দিনে পাতে যেমন ইলিশ পেয়ে মুখের হাসি ফুটবে বাঙালি,তেমনিই ইলিশের ভাল দাম মিলবে মৎস্য জীবীদের।
মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরির দিন কয়েক আগে সাংবাদিক বৈঠক করে বলে দিয়েছিলেন ১৭ তারিখ থেকে খোলা হবে দীঘা ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়ে ছিল মৎস্য মার্কেট খোলা হবে সেই অনুযায়ী আজ থেকে খোলা হল এই মার্কেট। অন্য দিকে এই সম্বন্ধে আরেক মৎস্য জীবী শক্তিপদ শাহু বলেন – গত বছরের তুলনায় এই বছর আবহাওয়া খুব সুন্দর তাই এই বছর ভালো ইলিশ পাওয়ার আশা রাখছে মৎস্য জীবীরা, তার মতে আগের বছর যেমন প্রথম থেকে ইলিশ ছিল না এই বছর কিন্তু তা নয়। এবছর প্রথম থেকেই ইলিশের লক্ষ্যন দেখা গেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর মাছ পাওয়ার বিপুল আশা রাখছে তিনি। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই তিনটি টলার ইলিশ নিয়ে পাড়ি দিয়েছে দীঘার উপকূলে, আনুমানিক ৩ টনেরও বেশি ইলিশ ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে বলে শক্তিপদ শাহুর দাবি। দীঘার ফিশারম্যান ও ফিশট্রলার আসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দরবাবু জানান যে সবে দুদিন ফিশিং হয়েছে তাই সঠিক ভাবে তিনি বলতে পারছেন না যে এবছর কেমন হারে ইলিশ ঢুকেছে বাংলায়। তবে তার মতে যেমন গতিপ্রকৃতি দেখা যাচ্ছে মাছ আসার সম্ভবনা এবার বেশি, কারণ একটা বিশাল ঝড় গেছে ও দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে সমুদ্রে যাতায়াতও ছিল না সেই পরিপ্রেক্ষিতে মাছ এবার ভালো আসবেই। কিন্তু তিনি এও জানায় – ” যেভাবে ডিজেলের দাম বেড়েছে আমরা মূল্যায়ন এখনো করতে পারছি না যে কত সময় আমরা টিকে থাকতে পারবো”
তবে যাই হোক বর্ষার প্রথম মরসুমে গরম ভাতের সাথে ইলিশের সাদ যে বাঙালিরা অনুভব করতে পারবে তা বলা বাহুল্য।