অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চাইলেও মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কিন্তু কংগ্রেসে থেকে সেই স্বপ্ন কিছুতেই নাকি পূরণ হচ্ছিল না তাঁর। রাহুল গান্ধী নাকি পাত্তাই দেননি তাঁর এহেন আশাকে। রাহুল গান্ধীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদ চাইলে তাকে অপমানিত হতে হয়েছিল তাকে। এবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে অপমানের বদলা নিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পুরস্কার হিসেবে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী পদ। রবিবার সর্বানন্দ সোনওয়ালের পরিবর্তে অসমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। আজ গুয়াহাটির লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের উপস্থিতিতে নিজেদের নেতা হিসেবে হিমন্তকেই বেছে নিয়েছেন বিজেপির বিধায়করা।
হিমন্ত এককালে ছিলেন কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা। কংগ্রেসে সেসময়ের বর্ষীয়ান নেতা তরুণ গগৈয়ের বিকল্প হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল ২০১৬-র নির্বাচনে তরুণ গগৈয়ের পরিবর্তে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরুক কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দরবার করতে নিজের সাঙ্গোপাঙ্গোদের নিয়ে সোজা দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতেও যান হিমন্ত। কিন্তু শোনা যায় তাঁকে পাত্তাই দেননি রাহুল। তাঁর সাক্ষাৎ না পেয়ে অসমে ফিরেই দলত্যাগ করেন তিনি। বিজেপিতে গিয়ে অসম-সহ গোটা উত্তরপূর্ব ভারতে কংগ্রেসের আধিপত্য কার্যত একার হাতে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন হিমন্ত। তাঁর দৌলতেই কার্যত গোটা উত্তর পূর্ব ভারত ‘কংগ্রেস মুক্ত’।
হিমন্তের এই অভাবনীয় সাফল্যের পুরস্কার এবার তাঁকে দিল বিজেপি। আসলে তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব এতটাই বেড়েছে যে সোনওয়াল-কাছারি উপজাতির প্রতিনিধি সোনওয়ালকেও সরিয়ে দিতে একপ্রকার বাধ্য হল গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নিজের যোগ্যতাতেই ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছে গেলেন ৫২ বছর বয়সি এই নেতা।
কালই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি।