“দেশভাগের পর এমন হিংসার কথা শুনেছিলাম।” বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এমন মন্তব্যই করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। স্বাধীন ভারতে এমন পরিস্থিতি এই প্রথম, এমন দাবীও করতে দেখা যায় তাঁকে। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই রাজ্যে জ্বলে উঠছে হিংসার আগুন । কোথাও বা জ্বলছে বাড়িঘর , কোথাও ভাঙচুর চলছে দোকানে , আবার কোথাও জয়ের উল্লাসে বাড়ির ভেতর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে চলছে বেধড়ক মারধর। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত পাঁচ বিজেপি কর্মী । এক হাজার বিজেপি কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এমনটাই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ।
গত রবিবার খুন হন সোনারপুরের বিজেপি কর্মী হারান অধিকারী। বঙ্গ সফরে এসে আজ তাঁর বাড়িতে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নিহত ঐ ব্যক্তির পরিবারের সাথে কথা বলে তাঁদের সব রকমের সাহায্য করবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি । সমব্যথী হন তাদের দুঃখে। মমতা ব্যানার্জীর সরকারের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া হিংসাত্মক ঘটনার অভিযোগও করেন তিনি। এমনকি কটাক্ষ করে বলেন “মমতা অসহিষ্ণুতার প্রতীক ” । নাড্ডা বলেন “মমতা দিদি যে সবসময় শান্তির কথা বলেন সেটাকে সত্যিই শান্তির বার্তা? তাহলে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে এমন অত্যাচার এমন নৃশংস হত্যার ঘটনা কেন ঘটছে রাজ্যে? আসলে সবটাই মমতার নাটক। একদিন এই নাটকের কথা সব টাই তুলে ধরা হবে সকলের সামনে। মমতা যা করছেন সেটা আর যাই হোক বাংলার সংস্কৃতি নয়। যারা স্বজন হারাচ্ছেন যাদের পরিবারের ছেলে বা স্বামীকে খুন করা হলো তাদের আর্তনাদ মমতার কানে পৌঁছচ্ছে না । কেউ এই হিংসা নিয়ে কথা বললেই তাকে বলা হচ্ছে নৌটঙ্গি স্টান্টবাজি। আমরা রাজ্যের সব জায়গায় যাব, গিয়ে প্রশ্ন করব , আপনারা কি সত্যিই এইরকম সরকারের হাতে নিজেদেরকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তুলে দিতে চান?” নাড্ডা আরও বলেন “পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পর যে ঘটনার সাক্ষী থাকলাম, তাতে আমরা হতবাক, আমরা চিন্তিত। দেশভাগের সময় এরকম ঘটনার কথা শুনেছিলাম। ভোটের পর স্বাধীন ভারতে আমরা কখনও এরকম ঘটনা দেখিনি।” বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘গনতান্ত্রিক ভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত’, একথা স্পষ্টতই জানিয়ে দেন তিনি।