নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: হলদিয়া সুতাহাটা সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে অনুষ্ঠিত হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সায়নী ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গের সেচ মন্ত্রীর ডা: সৌমেন মহাপাত্র, মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক সাংগঠনিক চেয়ারম্যান বিপ্লব রায় চৌধুরী, জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেব প্রসাদ মন্ডল, জেলা তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক যুব সভাপতি অভিষেক দাস, মহিলা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শিবানী দে কুন্ডু, হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশু শেখর মণ্ডল প্রমুখ নেতৃত্ববৃন্দ। কর্মীদের ডিসিপ্লিন মেনে চলার জন্য আর্জি জানান সেচমন্ত্রী ডক্টর সৌমেন মহাপাত্র। সব শেষে মঞ্চে রাজ্য যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ বিজেপির বিরুদ্ধে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে বলেন, “বিজেপি হাজার খারাপ চাইলেও বাংলায় সেটাই হবে যা বাংলার মানুষ চাই। আগামী দিনে দিল্লি যাবে হাওয়াই চটি।” প্রতিটি জেলায় দলের যুব সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির কথাও বলেন তিনি। এদিন সায়নী ঘোষ সাফ জানিয়ে দেন, কোনো ব্যক্তির কুকীর্তির ফলে দলের গরিমা নষ্ট হলে তাকে দল ছেড়ে দেবে না। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন সায়নী। তিনি বলেন, তৃণমূল কর্মীদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান কিছু লোকের গড় কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এরপরেই তিনি বলেন, মেদিনীপুরে অধিকারীদের গড় বলে কিছু ছিল না আর নেই। দল থেকে বেনোজল বেরিয়ে গিয়ে দলের পক্ষে মঙ্গলই হয়েছে।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের অবস্থার কথা তুলে সায়নী ঘোষের বক্তব্য, নানারকম অত্যাচারের মাধ্যমে ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব শক্তিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ করেন সায়নী। তিনি আরও জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই তৃণমূল যুব সংগঠনের মাত্র একশটি ছেলেকে পাঠালেই অশান্ত ত্রিপুরা ঠান্ডা হয়ে যাবে। রাজ্যে বিজেপির যা অবস্থা আর কিছুদিন পর বিজেপি বলে কিছু থাকবে না। ৭৫ টি বিধায়ক সাড়ে সাতে গিয়ে ঠেকবে, বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন রাজ্য যুব তৃনমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশ থেকে বিজেপি হঠানোর লক্ষে আপ্রাণ চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ত্রিপুরা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে নিজের জয়যাত্রা শুরু করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই লক্ষ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সায়নী ঘোষ এরকম বহু শীর্ষ নেতৃত্বকেই বারবার সেখানে ছুটে যেতে দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরার সংগঠন জড়ালো করার লক্ষ্যে। আপাতত ২০২৪ কেই যেন পাখির চোখ করেছে তৃণমূল।