প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে প্রকৃতেই হাতিয়ার করতে চান মমতা। এদিনের বৈঠকে তিনি এরকমই ছক কষে দিলেন আধিকারিকদের। গ্রীষ্মকালীন ঘূর্ণিঝড় বাংলার প্রতি বছরের সমস্যা। আয়লা, আমফান,ইয়াসের মত ঘূর্ণিঝড় প্রতি বছরই আছড়ে পড়ে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে।ক্ষয়ক্ষতিও হয় বিরাট অঙ্কের। এবার এই বিপর্যয় মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী শরনাপন্ন হলেন প্রকৃতির কাছেই। আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ” আমরা আগের বছর সুন্দরবন এলাকায় ৫কোটি ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছিলাম, যার ফলে এবছর ক্ষয় ক্ষতি বেশ কিছুটা এড়ানো গেছে বলেই খবর আছে আমার কাছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় রুখতে সুন্দরবন এলাকাতে আরও বেশি করে ম্যানগ্রোভ পুঁততে হবে আমাদের। মূলত যে এলাকা গুলিতে জনবসতি বেশি,সেই এলাকা গুলিতেই জোর দিতে হবে।” এছাড়াও ভেটিভাট ঘাস লাগানোর মাধ্যমে নদীর ভাঙন রোখার কথাও বলেন তিনি। এদিন “প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই সহায়” নামে একটি প্রকল্প শুরুর কথাও বলেন মমতা। এছাড়াও ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছের মোটা ডাল দিয়েও নদীতে ভাঙন রোধের কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন “ঝড়ে যে গাছগুলো পড়ে যায়, সেই গাছের মোটা ডালগুলো যদি নদীর ধারে পুঁতে দেওয়া যায় তাহলে নদীর ভাঙন অনেকটাই আটকানো সম্ভব হবে।” আজকের এই বৈঠকের পর একথা স্পষ্ট যে বাংলার বিপদে প্রকৃতিকেই ঢাল করে লড়তে চাইছেন মমতা।
বিপর্যয় থেকে বাঁচতে প্রকৃতিই হাতিয়ার বাংলায়, ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর । এম ভারত নিউজ
Read Time:2 Minute, 1 Second