এমপক্স সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ঘোষণার পরই ইউরোপে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে সংক্রামক রোগ এমপক্স। সুইডেনে থাবা বসিয়েছে ভাইরাসটি। এর আগে আফ্রিকার বহু দেশে এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এখন এটি ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
সুইডেনের জনস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি সম্প্রতি আফ্রিকা গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে থেকেছেনও। আফ্রিকার দেশগুলোতে উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়েছে এমপক্স। গত দুই বছরের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো এমপক্সের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হল।
শুরুতে কঙ্গোয় এমপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। কঙ্গোতে এই ভাইরাসের কারণে অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত কঙ্গোতে এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৭০০ জন। বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান, কেনিয়া ও রুয়ান্ডাতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
‘হু’ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আফ্রিকার ১৩টি দেশে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং এর নতুন ধরনটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ঘেব্রিয়াসিস বলেন, ‘আফ্রিকা এবং এর বাইরে দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই উদ্বেগজনক। বুধবার জরুরি কমিটির বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আগে মাঙ্কিপক্স নামেই পরিচিত ছিল এ ভাইরাস। এমপক্স আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এ’টি ছড়ায়। এটি যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এতে ফ্লু’র মতো উপসর্গের পাশাপাশি ক্ষত সৃষ্টি হয়। অনেক সময় প্রভাব সামান্য দেখা গেলেও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আফ্রিকা, ইউরোপের পর দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানেও এক ব্যক্তির দেহে শনাক্ত হয়েছে এমপক্স।