বিশ্বব্যাপী অতিমারি নিয়ে কেন্দ্রের এই উদাসীন মানসিকতাই প্রাণনাশী হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করছে সমীক্ষা । সংক্রমনের দিক থেকে ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে নাম লেখাল ভারত। করোনা মোকাবিলায় উদ্যত দেশগুলির মধ্যে টিকা তৈরি এবং পার্শ্ববর্তী দেশে টিকা সরবরাহের দিক থেকে বিশ্বের দরবারে এক অভিনব প্রশংসনীয় জায়গা তৈরি করে নিয়েছিল ভারত ।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের সংক্রমণ রুখতে বিশ্বের সমস্ত দেশ গুলির মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত টিকা তৈরি এবং টিকাকরণের সফলতার নজির গড়েছিল এই দেশ। ভারত এবার দৈনিক সংক্রমনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে নাম লিখিয়ে এক বিফলতার নজির সৃষ্টি করল । একটি সমীক্ষার দ্বারা জানা গেছে ভারতে দৈনিক সংক্রমনের মাত্রা এতটাই ঊর্ধ্বগামী যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তা দ্বিতীয় স্থান থেকে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে যেতে পারে ।
ইতিমধ্যেই গতকাল থেকে দেশের ঘটা করে উদ্বোধন করা হয়েছে “টিকা উৎসবের”। টিকা উৎসবের মূল লক্ষ্য হল সর্বাধিক মানুষের কাছে এই টিকা পৌঁছে দেওয়া। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই ‘টিকা উৎসব’ চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আংশিক লকডাউন এবং নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এদিকে আজ থেকেই শুরু হতে চলেছে রমজান তাই ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলিতে বিপুল পরিমাণ মানুষ একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে সেক্ষেত্রে দেশের প্রশাসনিক মহল এবং কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটি নজর রাখার বিষয়।
সোমবারের রিপোর্ট বলছে রবিবারে দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২ জন মানুষ, যা কিনা বলা যেতে পারে প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার। শেষ ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের, আক্রান্ত যেখানে প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার সেখানে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৫ হাজারের সামান্য বেশি সংখ্যক মানুষ। ফলে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।