দেশে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে ।লাগামছাড়া সংক্রমনের জেড়ে প্রায় প্রতিটি কোভিড হাসপাতালে বেড সংখ্যায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি অক্সিজেনের অভাবেও প্রাণ দিতে হচ্ছে বহু মানুষকে। গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমনের গণ্ডি তিন লক্ষ অব্দি সীমিত থাকলেও, সেই গণ্ডি এবার চার লক্ষ পার করলো। করোনার সংক্রমনের এই লাগামছাড়া বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞ মহলের তরফ থেকে ধারণা করা হয়েছে চলতি মাসেই হতে চলেছে সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি বিশেষ ঘটনার মাধ্যমে জানানো হয়েছে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলি তে কোভিড সংক্রমনের রাশ টানতে এবার ১৮ বছরের উর্ধ্বে ছেলে-মেয়েদের দেওয়া হবে করোনার টিকা । তবে ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য। তাঁরা জানিয়েছে যথেষ্ট পরিমান টিকা না থাকার কারণে ১৮ বছরের ছেলে মেয়েদের টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । ইতিমধ্যেই প্রায় ২.৫লক্ষ মানুষ এই কো উইন অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। যদিও কেন্দ্র সরকারি তথ্য অনুসারে জানতে পারা যাচ্ছে, প্রায় প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে এক কোটিরও বেশি থাকার কথা তবে কেন এই ঘাটতি দেখা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য সামনে আসেনি।
ইতিমধ্যেই ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন দেশ। কোন দেশ থেকে ভ্যাকসিন তৈরির কাঁচামাল এবং কোন দেশ থেকে পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। আমেরিকা থেকে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ঔষধ ।সেক্ষেত্রে প্রতিটি দেশ এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পপতিদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার পরেও দেশের সংক্রমণ কিভাবে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এদিকে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যখন এতটাই সংকটাপন্ন। ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশের সৌন্দর্যায়নের জন্য কুড়ি হাজার কোটি টাকা ধার্য করার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।