নিজস্ব সংবাদদাতা, পুর্ব মেদিনীপুর : রূপনারায়ণের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ। নদীর ভাঙ্গন রোধের কাজের গতি বৃদ্ধিতে এবার দফায় দফায় বৈঠক করছেন সৌমেন মহাপাত্র। নদী ভাঙ্গনের এই সমস্যায় মানুষ প্রকৃতির কাছে বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছেন। নদীর এই অভিমুখ পরিবর্তন এবং অগ্রবর্তী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় প্রতিদিনই অনিশ্চয়তার জীবন কাটান সাধারন মানুষ। নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলায় বহু জমি, জায়গা ,বাড়ি চলে যায় নদীগর্ভে। আর এখন এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের রূপনারায়ণ নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেশকিছু গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের দেনান, আমলহান্ডা, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের গোবরা, আচাইপুর,জামিট্যা সহ বেশকয়েকটি নদী তীরবর্তী গ্রাম।
একদিকে যখন ভাঙ্গনের সমস্যায় পড়ে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ ,ঠিক তখনই প্রত্যেক কোটালের জলোচ্ছ্বাসে অনিশ্চয়তার জীবন কাটাচ্ছেন তাঁরা। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিনগুলোর মত বিভিন্ন কোটালের সময় চরম আতঙ্কে কাটাতে হয় গ্রামের মানুষজনদের। তবে গত মাসের ২৬ শে মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে যে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয় রূপনারায়ণ তীরবর্তী এলাকায়।তাতে করে যেকোনো কোটাল এলেই ,তা সেই পুরনো দিনের স্মৃতি উস্কাচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের কাছে। ইতিমধ্যেই আগত কোটালগুলি জলোচ্ছ্বাস বারাবার শঙ্কা ধরাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
কয়েকদিন আগে সেচ দপ্তরের উদ্যোগে কোলাঘাটের দেনান থেকে বাবুয়া পর্যন্ত রূপনারায়নের তীরে গার্ডওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তাতে আগামী দিনে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে এই সমস্ত এলাকার সাধারণ মানুষ। তবে দেনান থেকে গোবরা আচাইপুর জামিট্যা সহ একাধিক নদী তীরবর্তী গ্রাম রয়েছে যেখানে ইয়াসের সময় থেকে নদীর ভাঙনের গতি বেড়েছে বলে দাবী গ্রামবাসীদের। এমনকি গার্ডোয়ালের কাজ ঠিক কতটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে রুখতে কাজে আসবে সে বিষয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ।তবে এই ভাঙন বিষয়ে রীতিমত চিন্তায় রয়েছে সেচদপ্তর। সেচমন্ত্রী ডা: সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ইতিমধ্যেই গার্ডওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এই বিপর্যয় থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা।