
শুরুটা হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়ে। তারপর একে একে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পদ্মের ছাতায় নাম লিখিয়েছেন অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, নিশীথ প্রামাণিক,অনুপম হাজরা, সব্যসাচী দত্ত। শুধু তাই নয়, একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতিঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের সঙ্গে মমতার সম্পর্কের অবনতির পর বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান তিনি। সদ্য তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিল্লিতে গিয়ে পদ্মপতাকা তুলে নেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

এখন বঙ্গ রাজনীতিতে ইন শুভেন্দু। গতকালই তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন তিনি। সেইসঙ্গে আরও দশ জন বিধায়ক যাবেন বলে আগেই বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, ধাপে ধাপে নির্বাচনের আগে আরও নেতা বিজেপির ছত্রছায়ায় চলে যাবেন বলেই দাবি নন্দীগ্রামের শুভেন্দুর। শুক্রবার দল ছেড়েছেন বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তও। আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ ছেড়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। যদিও এরপর তিনি জানানো যে তিনি দলেই রয়েছেন । তবে বাকিরা বিজেপিতে যাবেন কিনা সেবিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি। তবে শুধু প্রথমসারির নেতা বা মন্ত্রী নয়, ব্লকস্তর থেকে জেলাস্তরেও বিক্ষুব্ধদের তালিকাটা ক্রমেই চওড়া হচ্ছে।

তবে একথাও শোনা যাচ্ছে, লাইনে রয়েছেন একাধিক নেতা। তাঁরাও গেরুয়া শিবিরে যাবেন বলে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু যাঁকে নাকি পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনিই নাকি ইস্তফা দেবেন তৃণমূল থেকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। নির্বাচন হতে এখন বেশ কয়েকদিন বাকি। তার আগে যেভাবে দলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে, তাতে নির্বাচন লড়তে শাসকদলকে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।