ইতিমধ্যেই বঙ্গে তিন দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে| নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানোর জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, অধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে|১০ তারিখ অর্থাৎ শনিবার চতুর্থ দফায় যাদবপুর আসনে নির্বাচন। নির্বাচনের আগে বুধবার সন্ধেয় যাদবপুরে জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থাৎ তৃণমূল সুপ্রিমো। জনসভায় তুলোধোনা করলেন বিজেপিকে, কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না যাদবপুরের বামপ্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকেও। বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বললেন, “মনে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসনে ভোট হচ্ছে।” ভোটের আগে বুধবার দুপুরে উত্তরবঙ্গে একাধিক সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা শেষ করে ফিরে যান যাদবপুরে, সেখানে সভা করেন তিনি। এবং সেই সভা থেকেই বিজেপিকে রীতিমতো তুলোধোনা করেন। বিজেপির একাধিক নীতির বিরোধিতায় সুর চড়ান মাননীয়া। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও সরব হন তিনি,ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, “এমন ভোট আগে দেখিনি। আমার হাতে কিছুই নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। প্রতিদিন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক এমনকী ওসিদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চারিদিকে যেন রাষ্ট্রপতি শাসনে ভোট হচ্ছে।”

এরপরই বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমি যদি বাঘের বাচ্চা হয়ে থাকি বিজেপিকে কিছুতেই বাংলা দখল করতে দেব না। বাংলাকে টুকরো করতে দেব না। ওরা আমার পায়ে চোট করালেও, জানে না এত সহজে আমাকে দমানো যাবে না। আমি চূড়ান্ত জেদি।”এই সভা থেকেই বামেদেরও আক্রমণ করেন মমতা। সুজন চক্রবর্তীকে ‘কুজন’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি তিনি যাদবপুরের সভা থেকে রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কথা মনে করিয়ে দেন । বলেন, “কেন্দ্রের কারও দেখা মেলেনি আমফান থেকে কোভিড , সমস্ত রকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমি প্রাণের ভয় না করে রাস্তায় নেমেছি। রাস্তায় দাগ কেটেছি।” ভবিষ্যতেও মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।