জগদ্ধাত্রী পুজোয় করোনা বিধি নিষেধ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন চন্দননগরবাসীরা। কিন্তু এবার সেই চিন্তা দূরীকরণে নামল রাজ্য সরকার। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই বছর থাকছে না নৈশ বিধি নিষেধ। এই মর্মেই জারি হল সরকারি নির্দেশিকা। আজ নবান্নের জারি করা একটি নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১২ ও ১৩ই নভেম্বর রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা অবধি নাইট কার্ফু তুলে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল, সোমবারই পুজো দেখার গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ। তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন কোনও সরকারি নির্দেশিকা না বেরোলে আগের মতোই করোনার নৈশ বিধি নিষেধ বহাল থাকবে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়। এদিকে, ১০ ও ১১ নভেম্বর ছট পুজোর জন্য রাতের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য গতকাল পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা না আসায় নৈশ বিধি বহাল থাকবে বলেই পদক্ষেপ করছিলেন পুলিশ কর্তারা। গতকাল অর্থাৎ সোমবারই চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ প্রকাশ করেছেন পুজো দেখার গাইড ম্যাপ। তিনি আগে জানিয়েছিলেন, নতুন কোনও সরকারি নির্দেশিকা না জারি হলে আগের মতোই চন্দননগরেও করোনার নৈশ বিধি নিষেধ বহাল থাকবে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়। এদিকে, ১০ ও ১১ নভেম্বর ছট পুজোর জন্যও রাতের বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য গতকাল পর্যন্ত কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি না হওয়ায় নাইট কার্ফু বহাল থাকবে বলেই সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছিলেন পুলিশ কর্তারা।
সোমবারই এই প্রসঙ্গে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো পুজো কমিটিগুলিকে সার্কুলেট করা হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে কীভাবে পুজো হবে, তা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। তবে নাইট কার্ফু প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ীই এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার সকালে নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাতের নৈশ বিধি নিষেধ শিথিল করা হল। এছাড়াও, পুজোর সময় রাস্তাঘাটে নজরদারি চালাতে ৫০টি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, থাকছে ওয়াচ টিম। এছাড়া গোপন জায়গা থেকে ভিডিওগ্রাফিও করা হবে। এমন কোনো ছাদ যা কারোর নজর পড়ে না সেই জায়গায় ক্যামেরা থাকবে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার। তাছাড়া ওয়াচ টাওয়ার থেকেও বাইনোকুলারে নজরদারি চালাবে চন্দননগর পুলিশ। চন্দননগর ঢোকার রাস্তায় নো এন্ট্রি থাকছে ৯ থেকে ১৫ তারিখ দুপুর দুটো থেকে পরদিন সকাল ৬ টা পর্যন্ত।