মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফের শুরু হচ্ছে জনতার দরবার। পঞ্চায়েতের আগে আগামী রবিবার থেকে ফের কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসছে জনতার দরবার। যে কেউ গিয়ে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। সমস্যা গুরুতর হলে দেখাও করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। জনতার দরবারের দায়িত্বে থাকছেন সিএমও-র কয়েকজন অফিসার।
করোনার আগে জনতার দরবার চলত। টানা ৮ বছর ধরে চলেছে ওই দরবার। প্রতিদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বহু চিঠি আসে মানুষের সমস্যা নিয়ে। ফলে চাপ বাড়ছে সেখানে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের অফিসে আগে সরাসরি তাদের অভিযোগের কথা জানানো যেত। করোনার সময় স্বাভাবিক ভাবেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বেশ সমস্যায় পড়েছেন। কারণ আগে খুব সহজে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি ক্লাবে আপাতত ওই অফিস চালু করা হবে। নবান্নের কয়েকজন আধিকারিক এর দায়িত্বে থাকবেন। আগে অবশ্য আইপিএস অফিসার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ওই অফিস চলত।
জনতার দরবারের ফের চালু হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। একসময় দিল্লির সম্রাটের নির্দেশ দিল্লির ১০ কিলোমিটার বাইরে কার্যকর হতো না। এখন তৃণমূলের সেই অবস্থাই হয়েছে। একজন হাজার হাজার পুলিস নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন রাজ্য দর্শনে।
সমালোচনা করা হয়েছে সিপিএমের তরফে। তাদের বক্তব্য তৃণমূল মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। এই দলটিকে ক্ষমতায় এনে যে কোনও কাজ হচ্ছে না তা বোঝা যায়। বিরোধীদের সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, সুজনবাবু এসব কী বলছেন? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা জ্যোতি বসুকে কেউ কখনও দেখেছেন জনতার দরবারে? পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূলের।