তৃণমূল সুপ্রিমোর আলোচনার বার্তাতেও কাজ হল না। দলনেত্রীকে উপেক্ষা করেই পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে গেলেন পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বুধবার সন্ধ্যায় সুনীলের বাড়িতে হাজির হন তিনি। শুধু জিতেন্দ্র নন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিধায়ক পদ ছাড়া নন্দীগ্রামের শুভেন্দু। ছিলেন দলের একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতারা। সুনীলের বাড়িতে শুভেন্দুর উপস্থিতিতে বৈঠক চলে বিদ্রোহী নেতাদের।

প্রসঙ্গত, বিক্ষুব্ধ জিতেন্দ্র তিওয়ারি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা তো দুরস্ত বুধবারও শাসকদলের উন্নয়নের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছিলেন। এমনকী পদত্যাগের বার্তা দিয়েছিলেন। তখনই জিতেন্দ্রকে দলে রাখতে মরিয়া হয়ে ফিরহাদ আলোচনার জন্য ডেকে পাঠান। তবে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘কথা যদি বলতেই হয় তাহলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বলব। আর কারও সঙ্গে নয়।’

উল্লেখ্য এদিন শুভেন্দু বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার পরই তড়িঘড়ি মমতার সঙ্গে আলোচনার বার্তা পাঠানো হয় জিতেন্দ্রকে। সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী ১৮ ডিসেম্বর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এরপরেও মন গলল না জিতেন্দ্রর। সটান সদ্য তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা শুভেন্দুর উপস্থিতিতে সুনীলের বাড়িতে বৈঠকে যোগ দিলেন। নির্বাচনের আগে তৃণমূলের একের পর এক বেসুরো মন্তব্যে দলের ভিত নড়বড় করছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।