প্রাথমিক নিয়োগের ইস্যুতে এবার বাতিল করা হল ১৬৯৪ জনের চাকরি। সিবিআই-এর তরফে এসএসসি ও আদালতকে জানানো হয়েছে যে ওএমআর কারচুপির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ওই ১ হাজার ৬ শো ৯৪ জনকে ‘গ্রুপ ডি’ শিক্ষাকর্মীর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি জেলায় স্কুল পরিদর্শকদের কাছে এই তালিকা পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৪ শে জানুয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলার ফের শুনানি। সেইদিন ওই শিক্ষাকর্মীদের বক্তব্য শুনে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আদালত মারফত ওই বেনিয়োগ তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-দের কাছে পাঠানো হয়। তারপর দেখা গিয়েছে ওই তালিকা থেকে সবচেয়ে বেশি বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ৩৬০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে সেখানে। তারপরের স্থা্নে পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখান থেকে ২৯৮ বেআইনি নিয়োগ। এছাড়াও বাকি কোলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ প্রায় সব জেলা থেকেই এইরকম অবৈধ নিয়োগ হয়েছে। এখন প্রশ্ন, তবে কি বিশেষভাবে মেদিনীপুরকে বেনিয়োগে পাখির চোখ করা হয়েছে? এভাবে চাকরি পাইয়ে ভোট টানার পরিকল্পনা? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। এইভাবে একের পর এক বেনিয়োগের তালিকা প্রকাশ্যে আসছে। আরও কত যে এখনও ধামাপাচা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।
আরও পড়ুন