কঙ্গনা রানাওয়াতের বিজেপি প্রীতির কথা দেশজোড়া কারোরই অজানা নয়। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে টুইটের বন্যা বয়ালেন কঙ্গনা। এনআরসি থেকে রোহিঙ্গা কোনো ইস্যুতে বিঁধতে ছাড়লেন না মমতাকে। এর প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের শান্তি এবং শৃঙ্খলা নষ্ট করছেন কঙ্গনা এই অভিযোগে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক আইনজীবী।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে একাধিক টুইট করেছেন কঙ্গনা। কখনও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে রাবণ বলেছেন, কখনও আবার পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে এমন দাবিও করেছেন। ২রা মে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিন একটি টুইট করে কঙ্গণা বলেন “বাংলাদেশী আর রোহিঙ্গারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল শক্তি। তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই। আর বাঙালি মুসলিমরা হল ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে সবচেয়ে গরীব। বাংলায় একটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।”
এখানেই শেষ নয় আরামবাগের পার্টি অফিসে আগুন লাগার একটি টুইট রিটুইট করে অভিনেত্রী লেখেন “আগামীদিনে বাংলায় রক্তস্নান হবে। সরকার হেরে যাওয়ার ভয়ে রক্ত পিপাসু হয়ে উঠবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়লাভ কে কেন্দ্র করেও কটাক্ষ করতে দেরি করেননি তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর একটি টুইট করে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বাঁকা সুরেই বলেন “২০১৯-এ লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাঘিনীর মতই লড়াই করেছেন এই বিধানসভা নির্বাচনে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামতে দেয়নি। সিএএ, এনআরসিকে আটকেছেন। মোদিকে খেলায় আহ্বান করেছেন। একেবারে খোলাখুলি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছেন, তাঁদের ভোটার কার্ড দিয়েছেন। গণতন্ত্র এখানে রসিকতা। তবু আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যালুট জানাচ্ছি। কারণ যদি ভিলেন হতেই হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হন। রাবণের মত লড়াই করুন। রাহুল গাঁধীর মত গোগো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ী হওয়াই উচিত।”
এই সমস্ত ট্যুইটের জেরেই রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে এই অভিযোগে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী। আইনজীবী সুমিত চৌধুরী এ দিন বলেন “বাঙালি এবং বাংলার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা রানাউত। বিজেপি-র পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন কঙ্গনা। বাংলার আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্য করতে এনআরসি এবং সিএএ-র সমর্থনে কথা বলে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।” ইমেইল মারফত অভিযোগ দায়ের করেছেন আইনজীবী।