সময়টা ১৯৯০ এর দশক, কাশ্মীরের ইতিহাসে চালু হয়েছে এক কালো অধ্যায়ের। উপত্যকা জুড়ে শুরু হয়েছে হিন্দু নিধন যোগ্য, সেই সময়ই সকলের সামনে আসে একটা নাম ইয়াসিন মালিক। তার হাত ধরেই কাশ্মীরে তৈরি হয়েছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেকেএলএফ, কাশ্মীরের মানুষের কাছে জেকেএলএফ ছিল একটা ত্রাস। ইয়াসিন মালিকের নাম সবার প্রথমে আছে ১৯৮৯ সালে, জম্বু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের কন্যা রুবাইয়া সইদকে অপহরণের পর। সেই সময় ইয়াসমিন মালিকের নেতৃত্বে পাঁচজন সন্ত্রাসবাদীর বিনিময়ে রুবাইয়া সইদকে ফিরিয়ে দিয়েছিল সংগঠনটি। ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ এর প্রধান কাজ ছিল কাশ্মীরকে স্বাধীনতার নামে ভারতবর্ষের সেনা কর্মী ও কাশ্মীরের নিরীহ মানুষদের হত্যা করা। ২০১৯ সালে পুলয়ামা হামলার পর উপত্যকা জুড়ে ধরপাকড় চালু হলে ইয়াসিন মালিকের জঙ্গি যোগ সামনে আসে এবং উপত্যকায় জঙ্গিদের সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর জন্য ইয়াসিন মালিককে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়াও ১৯৯০ সালে শ্রীনগরে বায়ুসেনা অফিসারকে হত্যা করার ঘটনাতেও জড়িত ছিল এই নাম। দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত চলার পর গত ২৫শে মে এনআই-এর বিশেষ আদালত ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দেয়। এছাড়া সেই সময় জম্বু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কন্যা রুবাইয়া সইদকে অপহরণের অপহরণকারী হিসেবেও চিহ্নিত করে আদালত। এবার তার বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত অভিযোগের সঠিক তদন্তের দাবিতে তিহার জেলে শনিবার সকাল থেকে অনশনে বসেছে ইয়াসিন মালিক। শনিবার সকাল থেকে সে সমস্ত খাবার ও জল ত্যাগ করেছে । তার দাবি তার মামলার সঠিক তদন্ত করতে হবে।
কাশ্মীরের কুখ্যাত জঙ্গি ইয়াসিন মালিকের তিহার জেলে অনশন । এম ভারত নিউজ
Read Time:2 Minute, 33 Second