ইয়াসের প্রভাবেই ভারী বৃষ্টি আর সেই বৃষ্টিতেই জলমগ্ন মহানগরী। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পরেও জল নিকাশের কোন নাম নেই,শেষ পর্যন্ত পৌরসভার প্রচেষ্টাতেই পাম্পের মাধ্যমে জল নিকাশির ব্যবস্থা করা হল।একদিকে যেমন কাল মার্কস সরণি ও বাবুবাজার ক্রসিংয়ে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক জল জমে থাকতে দেখা গেল , তেমনি একই চেহারা দেখতে পাওয়া গেল কলকাতা পার্কস্ট্রিট এবং জহরলাল নেহেরু রোডের মাঝামাঝি স্থানে।
ইয়াসের প্রভাবে নিম্নচাপের জেরে হওয়া বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে জহরলাল নেহেরু রোড। ওদিকে জলের তলায় রয়েছে ক্যামাস্ট্রিটের বেশ কিছুটা অংশ। ফলে স্বভাবতই, সংকটাপন্ন জনজীবন। একদিকে রাজ্যে কার্যত লকডাউন। ফলেই রাস্তায় জনসমাগম কম হলেও সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের হতে হচ্ছে বেশ কিছুটা নাজেহাল।
মূলত ভারী বৃষ্টির কারণেেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কলকাতার বিভিন্ন লকগেটগুলি। এই কারণেই প্রধানত রাস্তায় জমে থাকা জল পাস করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় কলকাতার রাস্তায় জমে যাওয়া জল কমাতেই বিকেলের পর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন লকগেট গুলি। বিকেল সাড়ে চারটের পর থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে নিমতলা ঘাট, চাঁদপাল ঘাট, জ্যাকসন ঘাট লকগেট । কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই আশ্বস্ত করা হয়েছে যে লকগেট খুলে দেওয়ার ফলে দ্রুততার সঙ্গে জল নিকাশি সম্ভব হবে।