করোনা রুখতে উদ্যোগী কলকাতা পুলিশ, মাস্ক না পরায় একদিনে ১৬৭ জন ধরা পড়ল| এম ভারত নিউজ

user
0 0
Read Time:4 Minute, 8 Second

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে| করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে কলকাতাতেও। করোনা সংক্রমণ রুখতে চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকেই কলকাতার প্রত্যেকটি বাজারে পুলিশের তরফ থেকে প্রচার শুরু হল। মাইক নিয়ে করোনা সম্পর্কে সতর্কীকরণের প্রচার শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে মাস্ক না পরায় ধরপাকড়ের উপর আরও গুরুত্ব দিল পুলিশ। বুধবার মাস্ক না পরার অভিযোগে দেড়শো জনের বেশি পথচারীকে ধরা হয়। এর মধ্যে নিউ মার্কেট এলাকা থেকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে ১৫ জন কে। পুলিশের অভিযোগ, করোনা আক্রান্তর সংখ্যা কলকাতায় বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও বহু পথচারী ও গাড়ি, বাস আরোহীর মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক নেই বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরও। এবার সেদিকেও বিশেষ নজর পুলিশের। গত বছর করোনার ঢেউ কলকাতায় আছড়ে পড়ার পরই লাগাতার সচেতনতার প্রচার শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। এবারেও গত বছরের হাড়হিম করা চিত্র কে সামনে আনছে|তাই মাস্ক না পরার অভিযোগে চলছিল ধরপাকড়। গত মাস থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ধরপাকড়ের ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতার কয়েকটি মন্দিরে। তার আগে এদিন বাংলা বর্ষের শেষ দিনটায় চৈত্র সেলের বাজারেও ভিড় হতে শুরু করে। সাধারণত বাংলা নববর্ষে কালীঘাট মন্দিরে প্রচণ্ড ভিড় হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এদিন থেকেই কালীঘাট মন্দিরের আশপাশে প্রচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেও চলবে এই প্রচার। মন্দিরে দর্শনার্থীরা যাতে পারস্পরিক দূরত্ব অবশ্যই মেনে চলেন, তার জন্য হচ্ছে প্রচার।

এদিকে, বুধবার দুপুর থেকেই কলকাতার প্রত্যেকটি বাজারে করোনা বিরোধী সচেতনতার প্রচার শুরু করে প্রায় প্রত্যেকটি থানা। পুলিশের অভিযোগ, এই বছর এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ মানুষই করোনা নিয়ে সচেতন নন। তাই বাজারগুলিতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতা, এমনকী, বিক্রেতাদের মুখেও নেই মাস্ক। পারস্পরিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। তাই লালবাজারের নির্দেশে মাইক নিয়ে কলকাতার প্রত্যেকটি জনবহুল বাজারে প্রচার শুরু হয়েছে। বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন অবশ্যই মাস্ক পরেন। যেন তাঁরা স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখেন।

লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, গত বছর থেকে শুরু করে প্রত্যেক দিন মাস্ক না পরার জন্য কলকাতায় ধরপাকড় হয়। সোমবারও ১৩৩ জন, মঙ্গলবার ১৫৭ জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে মামলা করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ধৃতদের থানায় নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসিয়েও রাখা হচ্ছে। তবে ধরপাকড়ের সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক বিলিও করছে পুলিশ|

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Next Post

সামান্য উপসর্গের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পাঁচতারা হোটেলের সিদ্ধান্ত নিল মুম্বাই প্রশাসন| এম ভারত নিউজ

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়েছে| মহারাষ্ট্রে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মুম্বাইয়েও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।মুম্বাই পুর প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, রোগীর চাপ সামলাতে এ বার পাঁচতারা ও চারতারা হোটেলগুলিকে ব্যবহার করা হবে|প্রশাসনের তরফ থেকে সামান্য উপসর্গের করোনা আক্রান্তদের জন্য এই হোটেলগুলিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে […]

Subscribe US Now

error: Content Protected