সিবিআইয়ের এক অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার হল। সিবিআইয়ের তরফ থেকে লালন আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়েছে। তবে লালন শেখের পরিবারের লোকজন দাবী করেছেন যে, সিবিআই হেফাজতে লালনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই লালনের পরিবার এবং আত্মীয় সহ রামপুরহাটের মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। জায়গায়-জায়গায় চলছে রাস্তা অবরোধ। সিবিআই হেফাজতে সিআরপিএফ-এর নজরদারিতে থাকাকালীন এমন ঘটনা ঘটায় যথেষ্ট আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। খোদ সিবিআইয়ের হেফাজতে কীভাবে এমন মৃত্যু হল এ বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে বাংলার জনগণ এবং রাজনৈতিক মহলে।
ঘটনার পর থেকেই পুরো থমথমে বগটুই গ্রাম। গ্রাম জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এমনিতেই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে নানা রকম ইস্যু বের করে একে অপরকে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না শাসক-বিরোধী। এরপর এহেন পরিস্থিতির পরবর্তী অবস্থা কী হতে চলেছে তা নিয়ে যথেষ্টই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে প্রশাসনে।
ঘটনাটির সময় তদন্তকারী অফিসার কিংবা সিবিআইয়ের অন্যান্য আধিকারিকরা কোথায় ছিলেন, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ, কিভাবে এমনটা সম্ভব, এই সমস্ত প্রশ্নের একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে দিলির সদর দপ্তরে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এ ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘শুধু সিবিআইকে দোষ দিলে চলবে না। সিবিআই তখন আদালতে ছিল। মমতার পুলিশ ছিলেন লালনের পাহারার দায়িত্বে। তাই কাচের ঘরে বসে ঢিল ছোঁড়া উচিত নয়।‘
ইতিমধ্যে লালনের রহস্যমৃত্যু নিয়ে আজ হাইকোর্টে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন হাইকোর্টে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন