মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় আনা হয়েছিল ‘অপরাজিতা’ বিল। কেন্দ্রের সংহিতা আইন এবং নাগরিক সুরক্ষা আইনের তুলনায় কঠোরতম এবং শাস্তিদানের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দ্রুততম এই ‘অপরাজিতা’ বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে বিধানসভায়। বুধবারই মহারাষ্ট্রেও এরকম একটি বিল চাই বলে দাবি করলেন এন সি পি সভাপতি শরদ পাওয়ার।
বুধবার পাওয়ার বলেন, ‘বাংলায় যে বিল আনা হয়েছে তাতে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের উল্লেখ রয়েছে। মহারাষ্ট্রেও এরকম বিল নিয়ে আসা প্রয়োজন।’ পাওয়ারের এই বক্তব্যের সূত্র ধরে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বাংলা পথ দেখায়।’ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘মঙ্গলবার যে বিল পাস হয়েছে তা ইতিহাস তৈরি করেছে। বিভিন্ন রাজ্য ‘অপরাজিতা’ বিলের মত বিল আনার কথা ভাবছে।’
আরজিকর কান্ড নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল তখন তৃণমূলের তরফে সংসদে কঠোর আইন আনার দাবি তোলা হয়েছিল। আরজিকর কান্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বলেছিলেন, অপরাধীর ফাঁসি চাই। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত শাস্তির বিল আনতে কেন্দ্র যদি দেরি করে তাহলে তিনি সাংসদ হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে বিল আনবেন। এরপর মঙ্গলবার বিধানসভায় যে ‘অপরাজিতা’ বিল আনা হয়, সেখানে মমতা-অভিষেকের ইচ্ছেই মান্যতা পেয়েছে। শুধু তাই নয় এই বিলের প্রভাব যে জাতীয় স্তরে কতটা পড়েছে সেটাই প্রমাণিত হল শরদ পাওয়ারের দাবিতে।