ভোটের মরসুমে সরগরম রাজ্য রাজনীতি| ভোটযুদ্ধের মাঝে বিজেপির একনিষ্ঠ সমর্থককে পাওয়া গেল|কেতুগ্রামের নীলমণি দানা, তিনিই এখন খবরের শিরোনামে। রূপকথার গল্পের মতোই অনেকটা বিজেপি সমর্থক নীলমণির জীবন।এক দীর্ঘ প্রতিজ্ঞা নিয়ে তাঁর জীবনের আঠেরোটা বছর কেটে গিয়েছে। ৪৬ বছরের নীলমণি পশ্চিমবঙ্গে নিজের প্রিয় দল বিজেপিকে ক্ষমতায় দেখার অপেক্ষায় আছেন দীর্ঘদিন ধরে। “ধনুক ভাঙা পন”-এর কথা তো সকলেরই জানা,এনার গল্পও ঠিক ওরকমই। কঠিন প্রতিজ্ঞা করে দীর্ঘ ১৮ বছর খালি পায়ে হাঁটেন বিজেপির ওই একনিষ্ঠ কর্মী। যতদিন না পর্যন্ত রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করবে ততদিন পর্যন্ত জুতো ছাড়া থাকবেন তিনি, হাঁটবেন খালি পায়েই, এমনই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আর জেদি তিনি ।
কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত নিরোল গ্রামের বাসিন্দা নীলমণি দানা। পেশায় ধুপ বিক্রেতা নীলমণি টেনেটুনেই সংসার চালান। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জুতো পরা ছেড়ে দিয়েছেন বিজেপির একনিষ্ঠ ভক্ত নীলমণি। সবাই তাকে জুতো পরতে বললেও হার মেনেছেন তাঁর জেদের কাছে । এমন ঘটনা সত্যই বিরল|নির্বাচন শেষ হতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে, এখনও চার দফার ভোট বাকি রয়েছে| ২২এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের কেতুগ্রাম বিধানসভার নির্বাচন। কেতুগ্রাম বিধান সভার বিজেপি প্রার্থী মথুরা ঘোষের হয়ে দলের সঙ্গে প্রচার করছেন নীলমণি। রোদ পায়ে নিয়েই খালি পায়ে গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে যাচ্ছেন নীলমণি, ভয় নেই করোনার, কষ্ট নেই গরমে।
পায়ের তলা উত্তাপে লাল হলেও তিনি সিদ্ধান্তে অনড়। শুধু আছে দলের প্রতি নিস্বার্থ ভালবাসা। সকলের কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছেন একটাই মন্ত্র,বিজেপি সরকারের কোনো বিকল্প নেই। প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে নীলমণি এবারও আশাবাদী রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করবে বিজেপিই। আর তারপরই ২রা মে জুতো পড়বেন নীলমণি। ২রা মে কি হবে নীলমণির জুতো আবিষ্কার! নির্বাচনে যখন একের পর এক নেতা দল বদলাচ্ছেন,কুকথার বন্যা ছুটছে, হিংসার বলি হচ্ছেন একের পর এক সাধারণ মানুষ, ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে নীলমণি দানা এক দৃষ্টান্ত হয়ে এসে দাঁড়ালেন সকলের সামনে|