বাইজুসের সিইও রবীন্দ্রনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল ইডি। গতবছরের নভেম্বরের শেষের দিকে বাইজুসের মূল সংস্থাকে শো-কজ করে ইডি। রবীন্দ্রনের বিরুদ্ধে ৯,৩৬২.৩৫ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
এডু-টেক সংস্থা হিসাবে ভারতে বিপুল খ্যাতি অর্জন করলেও বর্তমানে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে বাইজুস। আর্থিক জটিলতায় কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে কোম্পানিকে পুনরায় সুনামের সঙ্গে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বাইজুস।
ইডির অভিযোগ, ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮ হাজার কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল ওই সংস্থা। পাশাপাশি ওই একই সময়ের মধ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নামে প্রায় ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। বিজ্ঞাপন ও প্রচার বাবদ ৯৪৪ কোটি টাকাও জমা করেছিল। এর মধ্যে বিদেশে পাঠানো অর্থও রয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বাইজুস। তবে এডু-টেক সংস্থাটির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনেন বিনিয়োগকারীরাই। বেশ কয়েকটি মার্কিন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বাইজুস কর্মকর্তার। দেনায় ডুবে গিয়েছে সংস্থাটি। এই পরিস্থিতিতে রবীন্দ্রনকে সরিয়ে নতুন করে বাইজুসের বোর্ড বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।