দিল্লিতে ‘ক্ষমতা দখলের’ জন্য জারি করা বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স-কে স্থায়ী রূপ দিতে কেন্দ্র সংসদে বিল আনলে তৃণমূল তার বিরোধিতা করবে। মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ আপ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে নবান্নে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, দিল্লির মন্ত্রী অতিশী এবং আপ সাংসদ রাঘব চড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে পৌঁছে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন কেজরীওয়াল। মমতার সমর্থনের ঘোষণার পরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কেজরি বলেন, “বিজেপি কোনও রাজ্যে বিরোধী সরকারকে কাজ করতে দেয় না। আমরা জানি, কীভাবে রাজ্যপালের পদকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ আমার কাছে একটা চিঠি এসেছে, বিদেশিদের খোঁজে, এনআরসি করার জন্য৷ আমার আবেদন, বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না৷ আমি জানি, বিজেপি-র মধ্যেও অনেকে খুশি নন, তাঁদেরও আমি আবেদন করছি৷ একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই পারে দেশকে বাঁচাতে।” সব দলগুলিকে একসঙ্গে আসার আবেদন জানান তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরেও কীভাবে অর্ডিন্যান্স জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার? আমরা কথার্বাতা বললাম। সব পার্টির কাছে আবেদন করব, আমরা যদি একসঙ্গে বিরোধিতা আসনে বসি, তাহলে দেশবাসীর কাছে অনেক বড় বার্তা যাবে। আমরা বিজেপিকে রাজ্যসভায় হারাতে পারি, তাহলে এই অর্ডিন্যান্সও বাতিল হয়ে যাবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করব। সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যায় বিচার চাইব।”
এদিন দুহাজার টাকা নোট বাতিল নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। বলেন, “২০০০-এর নোট যখন নিয়ে এসেছিল, তখন বলেছিলাম, ১০০০-এর নোট দিয়েই জনতার হয়ে যাবে, তার পর আবার দুহাজার কেন৷ এটা কি ধামাকা? দেশের সব মানুষ কষ্টে আছে।”