একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোটের আগে ,নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জারি করা নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্নায় বসলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল রাত্রে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্ররোচনামূলক বক্তব্য পেশের জন্য আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য নির্বাচনী সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। কোন কোন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা একে নির্বাচন কমিশন বনাম তৃণমূল ঠান্ডা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। গতকাল রাত্রে একটি টুইটের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “নির্বাচন কমিশনের ও গণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমি আগামীকাল বেলা ১২ টা থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবো।”

তবে সমস্যা অন্য জায়গায়, গান্ধী মূর্তির এই এলাকাটি ইস্টার্ন কমান্ডের আওতাধীন। তাই এখানে কর্মসূচীতে সেনার অনুমোদন প্রয়োজন হয়।তবে পূর্বে অনুমতি না নেওয়ায় , সকাল ৯.৪০-এ ই-মেলে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো , ফলে সেনাবাহিনী তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এত কম সময়ের মধ্যে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও সেই স্থানের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছে । বহু জায়গা থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ওই স্থানে এসে ভীড় বাড়িয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল আজ বেলা বারোটা থেকে ধর্নার কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে তৃণমূল মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য এটি কালো দিন। তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার বারাসত, বিধাননগর, হরিণঘাটা এবং কৃষ্ণগঞ্জে তৃণমূলনেত্রীর জনসভা ছিল। কমিশনের নির্দেশের ফলে সমস্ত কর্মসূচিই বাতিল হয়ে যায়। যদিও সোমবার রাতের দিকে তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়, হরিণঘাটা এবং কৃষ্ণগঞ্জের সভা বাতিল হলেও বারাসত এবং বিধাননগরে জনসভা করবেন মমতা। প্রচারে নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরই তিনি এই সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়ে ধর্নায় বসেছেন তিনি তবে এই কর্মসূচি থামবে না , রাত্রে হলেও দুটি জনসভা করবেন তিনি। এখন প্রশ্ন থাকছে ,তাহলে কি নির্বাচন কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞাকে লাইমলাইটে আসার জন্য ব্যবহার করলেন তৃণমূল নেত্রী?