এবারের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন জমে উঠেছে। এই বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় শীতলকুচিতে আধা সামরিক বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। আজ রানাঘাট, বসিরহাট ও দমদমের সভা থেকে এই ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা।
চতুর্থ দফার ভোটের সেই অপ্রীতিকর ঘটনা কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বহু বিজেপি নেতা বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। সেই নেতাদের উদ্দেশ্যে এদিন মমতার বার্তা, “রাজনৈতিকভাবে এই নেতাদের ব্যান করা উচিত৷” রানাঘাটের সভা থেকে তিনি আরো বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই চান, আমরা শান্তিতে থাকি। গুলি করে মানুষ মারতে যেন না হয়। আমি ২১ জুলাই দেখেছি। আমার ১৩ জন শহিদ হয়েছিল। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে বলছে ৪ জনের জায়গায় ৮ জনকে মারা উচিত। এই বিজেপি-র নেতা, এরা দেশের নেতা হবে। এদের আপনারা ভোট দেবেন?এরা পারে না এমন কাজ নেই। ওদের একজন মহিলা সাংসদ নিজের গাড়ি নিজে ভাঙছিলেন।”
একইসঙ্গে শীতলকুচির ঘটনায় বিজেপির হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতিকে এদিন তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা। তার গলায় একই সুর শোনা যায় দমদম ও বসিরহাটের জনসভাতেও। এই দুটি সভা থেকেও বিজেপির উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি। এদিনের দমদমের সভা থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বাংলাকে গুজরাট না হতে দেওয়ার আহ্বান জানান মমতা। একইসঙ্গে তিনি আজ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির মতো অত্যাচারী, বর্বর প্রধানমন্ত্রী এখনো পর্যন্ত দেখেননি বলেও এদিন সভায় জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে মোদিকে গুন্ডাদের চৌকিদার বলেও এদিন কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। এহেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন রয়েছেন। তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার এইসকল বক্তব্যের পর মোদি বনাম মমতার এই লড়াই যে এক নতুন মাত্রা পেতে চলেছে, একথা বলাই যায়।