দুর্যোগ মোকাবিলায় এবার ২৪ সদস্যের টিম বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই সহায়” প্রকল্পের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এবার সেই প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি তৈরি করলেন কমিটিও।
নবান্ন সভাঘর থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন একথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ জনের এই কনিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কল্যান রুদ্র। বাকিরা কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য। সোমবার বৈঠকে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন “প্রাকৃতির দুর্যোগ মোকবিলায় দিঘা, সুন্দরবনের জন্য মাস্টারপ্ল্যানের আবেদন জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। ১১ ও ২৬ তারিখ বান আসছে। ২৬ তারিখের বানে যশের চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। নিচু এলাকায় থাকা টিউবওয়েল খারাপ হয়েছে।
পিএইচইকে দেখতে হবে উঁচু জায়গায় টিউবওয়েল বসানো যায় কিনা।” তিনি আরও বলেন “ইটভাঁটাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।১০০ দিনের কাজ বাড়াতে হবে। যশ পরবর্তী পরিস্থিতিকে সামাল দিতে ১০০ দিনের কর্মীদের কাজ করতে হবে।” এব্যাপারে সবকিছু দেখে নিতে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন তিনি। যশ পরিস্থিতি মোকাবিলার ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হবে ১০ জুন।মৌসুনি ও সাগর দ্বীপের কিছুটা অংশের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। সেই কারণেই ১১তারিখের বানের কথা মাথায় রেখে মৌসুনি ও সাগর দ্বীপের ২০ হাজার মানুষকে ১১তারিখের আগে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও ভেটিবার ঘাস রোপণের পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী।