নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল । সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়া মাত্রই স্বমহিমায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বারাসাতে প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সমর্থনে জনসভা করেন তিনি। বারাসাতে সভা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গর্বিত আমি স্ট্রিট ফাইটার৷’
পাশাপাশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে তিনি এও বলেন ,আগামী চার দফায় তাঁর ওপরে আরও সমস্যার সৃষ্টি করা হতে পারে। তবে তাঁকে হারানো সম্ভব নয়। শুধু বিরোধী পক্ষের নয় আজ বারাসাতের এই মঞ্চ থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন কেবলমাত্র ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি, তাতে কমিশনের কোপের মুখে পড়তে হলো তাঁকে। মমতা বলেন, তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা আদৌ যুক্তিযুক্ত কিনা মানুষই তাঁর জবাব দেবে৷
আজ বারাসাতের এই সভা থেকেই জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিজেপিকে বলতে চাই তোমার টাকা, লোকলস্কর, সব এজেন্সি আছে, তা সত্ত্বেও তোমরা কেন হারবে জানো? কারণ আমি স্ট্রিট ফাইটার৷ আমি গর্বিত আমি স্ট্রিট ফাইটার৷ আমি ময়দানে নেমে লড়াই করি৷ উপর থেকে নির্দেশ দিয়ে লড়াই করি না৷’ আজকের সভার মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বঙ্গ ভোট ২০২১ -এ মাতুয়া গোষ্ঠীর ভোটের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিজেপি। তাই আজ সেই প্রসঙ্গ তুলে আরও একবার বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন ভোটের আগেই কেবলমাত্র মতুয়াদের কথা মনে পড়ে বিজেপির।
দেশে বর্তমানে দ্বিতীয় ঢেউ চলছে করোনার, সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী। সেই প্রসঙ্গ টেনেও তিনি বলেন প্রথমবার করোনা সংক্রমনের সময় ঘরে লুকিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৪ ঘন্টা নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরেই কিছুটা , বিধ্বস্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরেই নিজের ধুরন্ধর গতিতে মঞ্চে ঝড় তোলেন তিনি। উল্লেখ্য চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন উত্তরবঙ্গে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তাই আজকের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভোটের দিন কেন রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী? বক্তব্য শেষে আরও একবার নিজেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলে সগর্বে গর্বিত হন তিনি।