জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের জায়গা দখল করতে তৎপর তৃণমূল। আপাতত তাদের লক্ষ্য পশ্চিমের উপকূলবর্তি গোয়া। এই রাজ্যে দলের সংগঠন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবারই পানাজি পৌঁছেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই গোয়ায় নিজের মিশনে নামতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে দেশজুড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। তৃণমূলের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এদিন গোয়ায় ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মমতার৷ জানা যাচ্ছে,শুক্রবার সকাল দশটায় প্রথমে গোয়ার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গোয়ার মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এছাড়াও গোয়ার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর৷ গোয়ার তিনটি মন্দির দর্শনেও যাবেন তৃণমূল নেত্রী।
গোয়ার সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ সমুদ্রের মাছ ধরা এবং বিক্রির জীবিকার সঙ্গে যুক্ত। তাই এদিন জনসংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের সাথে খোদ নিজেই কথা বলতে চান মমতা। জানা যাচ্ছে, বেলা বারোটা নাগাদ পানাজির বেতিমে গোয়ায় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল নেত্রী। এরপরে দুপুর একটা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। এছাড়াও এ দিন বিকেলে গোয়ার তিনটি বিখ্যাত মন্দিরে যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ সূত্রের খবর অনুসারে, বিকেল সাড়ে তিনটেয় প্রথমে পোঙ্গার মাঙ্গুয়েসি মন্দিরে, তারপর শ্রী মহলসা নারায়ণী মন্দির এবং তপভূমি মন্দিরেও যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর৷ শুক্রবার সন্ধ্যা ৫.৪৫ মিনিট নাগাদ মমতা গোয়ার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ সারবেন বলেই জানা যাচ্ছে৷
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই তিনদিনের গোয়া সফরে তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন গোয়ার বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, এমনই গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। যদিও তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মমতা গোয়ায় পা দেওয়ার পরেই তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে৷ এছাড়াও মমতার যাওয়ার রাস্তায় উদ্দেশ্যমূলক ভাবে জয় শ্রীরাম লেখা পোস্টার, হোর্ডিংও লাগিয়ে রাখার অভিযোগও উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে৷ যদিও তৃণমূল শিবির বিজেপির এই ধরনের আচরণকে ভালো চোখেই দেখছেন। জো শিবিরের নেতাদের দাবি, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গোয়া সফরে যে বিজেপি ভয় পেয়েছে, এসব তারই প্রমাণ৷